প্রথম আলো : বছর ঘুরে ফের অমর একুশে গ্রন্থমেলার দ্বার খুলেছে। শুক্রবার বেলা তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রন্থমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপরই সবার জন্য উন্মুক্ত হয় প্রাণের মেলার দুয়ার। প্রথম দিনেই দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
মেলার পরিসর বাড়ায় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে স্বচ্ছন্দে ঘুরতে পাচ্ছেন বইপ্রেমীরা। এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে বাইরের দেয়ালের গ্রিলগুলো বর্ণমালার চিত্রসংবলিত ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। মেলার স্টলগুলোর সাজসজ্জা নিয়েও মেলায় আগত দর্শনার্থীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বিভেদ ভুলে নগরবাসী ভাষার এই মাসে বইয়ে বুঁদ হবে বলেই মনে করেন তাঁরা।
বছর ঘুরে ফের অমর একুশে গ্রন্থমেলার দ্বার খুলেছে। শুক্রবার বেলা তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রন্থমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপরই সবার জন্য উন্মুক্ত হয় প্রাণের মেলার দুয়ার। প্রথম দিনেই দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
মেলার পরিসর বাড়ায় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে স্বচ্ছন্দে ঘুরতে পাচ্ছেন বইপ্রেমীরা। এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে বাইরের দেয়ালের গ্রিলগুলো বর্ণমালার চিত্রসংবলিত ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। মেলার স্টলগুলোর সাজসজ্জা নিয়েও মেলায় আগত দর্শনার্থীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বিভেদ ভুলে নগরবাসী ভাষার এই মাসে বইয়ে বুঁদ হবে বলেই মনে করেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াজ আল রিয়াদ প্রথম দিনেই বই কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘এবার সাজানোটা অন্যবারের চেয়ে ভালো লেগেছে। যদিও এখনো অনেক স্টল গোছানোর কাজ বাকি। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই মেলার পরিপূর্ণ পরিবেশ বোঝা যাবে।’ বইমেলা নিয়ে আশাবাদী এই ক্রেতা বলেন, ‘ই-বুক বা ডিজিটাল ফর্মে বই পড়ার যতই সুযোগ তৈরি হোক, সাহিত্যের সাথে বাঙালির সম্পর্ক ছেদ করা সম্ভব না। বইমেলার আবেদন বাড়বেই।’
মেলায় অনেকেই সন্তানদের নিয়ে এসেছেন। ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে মেলায় এসেছেন চন্দন দাস। তিনি জানান, প্রতিবছরই বাচ্চাদের নিয়ে আসেন। আজকে এখনো বই কেনেননি। প্রথম দিনে শুধু ঘুরে দেখছেন। তবে মেলায় চারদিকে প্রচুর ধুলা উড়ছে। নাকে মুখে মাস্ক বা কাপড় জড়িয়ে হাঁটছে সবাই। কয়েকজনকে ধুলার বিষয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা গেল।
শিশুদের কর্নারটি বেশ চমৎকার ও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। শিশুদের মন কাড়তে সেখানকার স্টলগুলোও বাহারি রঙে শিশুবান্ধব করে সাজানো। এ ছাড়া মেলায় রাখা হয়েছে শিশুদের খেলার জন্য নানা উপকরণ। সিসিমপুরের বিভিন্ন চরিত্র দিয়ে সাজানোয় শিশু চত্বরটা বেশ জমজমাট। এই চত্বরে বেশ মজা করে খেলছে বইপ্রেমী ও দর্শনার্থী রুবিনা আক্তারের দুই সন্তান। তিনি বলেন, বাচ্চাদের জন্য এবারের ব্যবস্থা ভালো হয়েছে। শিশুরা মেলায় এসে বিরক্ত করবে না, বরং মজা পাবে।
বইমেলায় ৪৯৯টি প্রতিষ্ঠান ও ৭৭০টি ইউনিট রয়েছে। প্রধান প্রকাশনা সংস্থার প্যাভিলিয়নগুলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে। গ্রন্থমেলায় ঢুকেই তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে দর্শনার্থীরা খুব সহজেই চলে যেতে পারবেন তাঁদের গন্তব্যে।
আপনার মতামত লিখুন :