রফিক আহমেদ : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, গণ বিবেচনায় বিগত নির্বাচনে সরকারের পরাজয় হয়েছে ও ঐক্যফ্রন্টের বিজয় সূচিত হয়েছে। এবারের ভোট ডাকাতির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে কোন ভাবেই অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
শুক্রবার সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পরিষদ সভার প্রথম পর্বে এ রাজনৈতিক প্রস্তাবে তিনি এ কথা বলেন।
জেএসডি’র সভাপতি জাতীয় পরিষদের সভার রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলেন, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সরকার নিজের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে। এবারের নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ব্যাপক জনমত প্রমাণ করেছে ঐক্যফ্রন্ট গঠনের উদ্যোগ নিয়ে জেএসডি সঠিক কাজ করেছে। বর্তমানে ঐক্যফ্রন্টকে আরো শক্তিশালী করার চেষ্টা করতে হবে। সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা যখন বলছেন আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনও ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মতো সুষ্ঠু হবে- তা থেকে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, উপ নির্বাচন ও উপজেলাসহ সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচনেই ভোট ডাকাতি হবে। এমতাবস্থায় জেএসডি আগামী উপজেলা নির্বাচন দলীয়ভাবে বর্জন করবে।
তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হাকিমসহ অবিলম্বে সকল রাজবন্দিদের মুক্তি এবং সকল ধরণের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। জেলা-উপজেলা সম্মেলন সমাপ্ত করে যথাসম্ভব স্বল্প সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত কথা জানান তিনি।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদের সভায় বক্তব্য রাখেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক জনাব আবদুল মালেক রতন, মিসেস তানিয়া রব, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, অ্যাড. সানোয়ার হোসেন তালুকদার, খোশ লেহাজ উদ্দিন খোকা, অ্যাড. আবদুর রহমান, গোলাম জিলানী চৌধুরী, এম এ আউয়াল, ওয়ালি আহমেদ পাটোয়ারী, আবদুল জলিল চৌধুরী, সোহরাব হোসেন, সুলতান আহমেদ বাচ্চু, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, অ্যাড. সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মোশারফ হোসেন, আহসান উদ্দিন চৌধুরী সুইট, আবদুর রাজ্জাক রাজা, মতিয়ার রহমান মতি ও এস এম রানা চৌধুরী প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :