হ্যাপি আক্তার : বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, নিপীড়ন-নির্যাতনের মাত্রার রেশ কাটতে না কাটতেই একটি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান, এটি এই মুর্হূতে মরুভূমিতে এক ফোটা বৃষ্টি আশা সঞ্চার করবে বিষয়টি তা নয়। কাজে দেখাতে হবে, জাতীয় ঐকের জন্য যে কুকীর্তি করেছে, এ থেকে সরকার সরে এসেছে, ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। আর সেটার প্রমাণ পেলে সংলাপে সারা না দেবার কোনো কারণ থাকবে না। বৃহস্পতিবার রাতে সময় টেলিভিশনের ‘সম্পাদকীয়’ টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সংলাপে সাড়া দিয়ে অংশগ্রহণ করেছিলাম। গণতান্ত্রিক মাত্রাকে সমন্বিত রাখার জন্য যে দাবিগুলো করা হয়েছিলো, তার কোনোটাই মানা হয়নি। তবে সর্বশেষ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো কাউকে হয়রানি, গ্রেফতার ও মামলা দেয়া হবে না। তার জন্য তালিকাও দেয়া হয়েছিলো, কিন্তু উল্টো হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে পিলখানার মর্মান্তিক হত্যাকা-ের পর বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই ধরনের ইস্যুগুলোতে জাতীয় ঐক্য অন্তত একটি আলোচনার টেবিলে বসি। ১৯৯১ পর এই ধরনের কোনো কথা আর শোনা যায়নি। তখন থেকেই একটি পলিসি গ্রহণ করা হয়েছিলো,বিএনপিকে বাদ দিয়ে সব কিছু করা হবে। সেই বাদ দেয়ার মধ্য দিয়েই একটি নেকি ঐক্যের প্রচেষ্টা করা হয়েছে, তার মধ্যে একাংশকে জড়িত করতে আওয়ামী লীগ সক্ষম হয়েছে। আর একটি বৃহৎ অংশকে এর বাইরে রেখেছে তাদের পরিকল্পনা মাফিক।
তিনি আরো বলেন, পিটিয়ে মেরে তক্তা বানিয়ে তারপর আদর করার জন্য আহ্বান জানানো, এটি একটি অপকৌশল। কিন্তু আন্তরিক কর্মকা-ের যে সৌন্দর্য সেটা শাসক দলের মধ্যে নেই।
সম্পাদনা : রেজাউল আহ্সান
আপনার মতামত লিখুন :