ইকবাল খান : মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য সিনেটর জেফ মার্কলি মঙ্গলবার বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ও অন্যায়ভাবে বন্দি রাখা সাংবাদিকদের মুক্তি দেওয়ার তাগিদ দিয়ে সিনেটে নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন তিনিসহ ২১ সিনেটর। এতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-নিপীড়নে জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসন চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই প্রত্যাবাসন যেন স্বতঃস্ফূর্ত হয়। সূত্র : জেফ মার্কলির ওয়েবপেইজ।
জেফ মার্কলে ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে এই প্রস্তাবের পক্ষে ছিলেন সিনেটর মার্কো রুবিও, ডিক ডারবিন, সুসান কলিনস, ডিয়ানে ফিয়েনস্টেইন, টড ইয়াং, বেন কার্ডিন, থম টিলিস, এলিজাবেথ ওয়ারেন, টিম কিয়ানে, ক্রিস ভ্যান হোলেন, শেরড ব্রাউন, এডওয়ার্ড জে. মারকে, রন উইডেন, বার্নি স্যানডারস, পেটি মুরে, ক্রিস কুনস, অ্যামি ক্লুবুচার, ক্যাথারাইন কর্টস মাসতো, ব্রেইন শাটজ, কমলা হ্যারিস এবং টিনা স্মিথ।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-নিপীড়নে গত দেড় বছরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গাদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে তাদের বিতাড়িত করেছে। একই সঙ্গে নারী ধর্ষণ, হত্যা ও দেশত্যাগে বাধ্য করারও অভিযোগ আছে। মার্কিন সিনেটের এই প্রস্তাবে আরসার (এআরএসএ) হামলারও নিন্দা করা হয়েছে।
মার্কিন সিনেটরদের এই প্রস্তাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অপরাধ মানবতাবিরোধী নাকি গণহত্যা, তা নির্ধারণে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লিংসহ এই ঘৃণ্য অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপও চেয়েছেন এই সিনেটররা।
রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে প্রবেশের পূর্ণ নিশ্চয়তা দেওয়াসহ তাদের কাজে সহযোগিতা করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে প্রস্তাবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়াসহ তাদের ভরণপোষনে বাংলাদেশ সরকারের ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :