সালেহ্ বিপ্লব : ভেনিজুয়েলার স্বঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়েইদো বলেছেন, তার পরিবার এখন হুমকির মুখে। দেশটির সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা করার সময় তিনি জানান, বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তার স্ত্রীকে খোঁজ করেছে। ভেনেজুয়েলায় চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অর্থনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে গুয়েইদোর এই অভিযোগ থেকে এটা স্পষ্ট আদালতের পাশাপাশি প্রশাসনেও প্রেসিডেন্ট মাদুরোর সমর্থকরা এখনো শক্ত অবস্থানে। বিবিসি।
দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকট এতোটাই প্রকট হয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট মাদুরোর বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভে নেমেছে সাধারণ মানুষ। গত মাসে গুয়েইদো নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণার পর পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ল্যাটিন আমেরিকার কয়েকটি দেশের সমর্থন পেয়ে যান। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট গুয়েইদোকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ইইউ’র সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে চীন ও রাশিয়া প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে সমর্থন করে যাচ্ছে।
এই অবস্থায় ক্ষমতায় টিকে থাকতে মাদুরো ও গুয়েইদো, দু’জনের জন্যেই সেনাবাহিনীর সমর্থন খুব জরুরি। মাদুরো এখনো সেনাসমর্থন পাচ্ছেন, তবে গুয়েইদো দাবি করেছেন, পরিবর্তনের ব্যাপারে সেনাবাহিনীর সাথে তার কথা হয়েছে। ওদিকে উচ্চ আদালত এখনো মাদুরোর পক্ষে ভূমিকা রাখছে বলেই মনে করা হচ্ছে। গুয়েইদোর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত, এরপর তার ব্যাংক একাউন্টও জব্দ করা হয়।
মাদুরো অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মদদে বিরোধীদলীয় নেতা গুয়েইদো অভ্যুত্থান ঘটাতে চাইছেন। মার্কিনীরা ভেনেজুয়েলাকে ‘ভিয়েতনাম’ বানাতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন দশ বছর ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা মাদুরো। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা আরআইএ’র সাথে সাক্ষাতকারে মাদুরো বলেছেন, দেশের ভালোর জন্য তিনি বিরোধীপক্ষের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন। তবে কোনো আলটিমেটাম বা ব্ল্যাকমেইলিং-এর কাছে তিনি নতিস্বীকার করবেন না।
তবে সাধারণ মানুষ বলছে, গত কয়েক মাসের চরম অর্থনৈতিক কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষে তারা গুয়েইদোর পক্ষে রাস্তায় নেমেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :