শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:২৩ সকাল
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শীতের আমেজ বাণিজ্যমেলায়, ভীড় শ্বশুর বাড়ির পিঠা ঘরে

স্বপ্না চক্রবর্তী : মাঘের শেষ হলেও আবহাওয়ার পরবর্তনে বাঘ তাড়ানো শীত পড়ে নি বাংলাদেশে। এর বিপরীতে হিমেল হাওয়ায় মন দোলছে নগরবাসীর। শীতকালেই বসন্তের বিকাল উপভোগ করছেন অনেকেই। আর এই উপভোগটা আরও মধুর হয়ে উঠে যদি সামনে থাকে হরেক রকমের দেশী পিঠা। তাইতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় শীতের আমেজে জমে উঠেছে পিঠার দোকানগুলো। তেমনি একটি দোকান শ্বশুর বাড়ির পিঠা ঘর।

বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটি না থাকলেও ছিলো ছুটি শুরুর আমেজ। তাইতো অফিস শেষ করে আমোদী নগরবাসীদের অনেকেই ভিড় জমান বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণে। প্রয়োজনীয় কেনা-কাটার পাশাপাশি পছন্দমতো পিঠার সমাহার দেখে প্লেইট চেটেপুটে খাচ্ছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সুমন পাল। তিনি বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরি করি। বিভিন্ন ছুটি-ছাটায় গ্রামের বাড়িতে গেলে এ বছরের শীতে আর বাড়ি যাওয়া হয়নি। তাই মায়ের হাতের পিঠাও খাওয়া হয়নি। আর বউ ব্যাস্ত থাকায় ইচ্ছে থাকলেও বাসায় পিঠা বানাতে পারে না। তাই চোখের সামনে এমন পিঠা দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। কি কি পিঠা রয়েছে জানতে চাইলে দোকানী রুপক মিয়া জানান, কি নেই বলেন? চিতই, দুধ চিতই, মালপোয়া, তেলেপিঠা, পাটিসাপটা, নারিকেল দিয়ে পুলি পিঠা, ভাপা পিঠা। তবে মেলায় আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে জামাই পিঠা। ৪০টাকা দামের একটি পিঠা খেলেই পেট টইটুম্বুর হয়ে যায়। তাছাড়াও স্বাদ অতুলনীয় বললেন পাশে দাঁড়ানো তরুণী সীমা বাড়ৈ।

শ্বশুড় বাড়ি পিঠা ঘর ছাড়াও মেলায় রয়েছে আরও প্রায় ১০টি পিঠার স্টল। যার প্রত্যেকটির সামনে রসনাবিলাসীদের ভিড়। এসব স্টলে মৌসুমি পিঠার পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে সবজির পাকুড়া, সিঙ্গারা, আলুর চপ, সমুচা, বার্গার, সেন্ডউইচসহ অন্যান্য মুখরোচক খাবারও। তাই তো বড়দের পাশাপাশি খুশি ছোট শিশুরাও। রাজধানীর মিরপুর শেওড়াপাড়া থেকে আসা ক্লাস ফাইভে পড়ুয়া ইফতির মুখে তাই খুশির হাসি। ইফতি বলে, বার্গার আমারও খুবই প্রিয়। কিন্তু ফাস্টফুড বেশি খাওয়া মানা। তবে মেলায় সবই এলাও।

হাতে গোণে আর মাত্র ৮ দিন রয়েছে মেলা শেষ হওয়ার। তাই রাজধানীসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মেলা প্রাঙ্গনে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। বিক্রেতারা আশা করছেন নতুন মাসের শুরুতে লোকজনের হাতে টাকা আসলে বর্তমানের তুলনায় বিক্রি বাড়বে আরও দ্বিগুণ। তাই খুশির হাসি বিক্রেতাদের মুখেও।

মেলার সহযোগী আয়োজক প্রতিষ্ঠান রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুারো (ইপিবি) সূত্রে জানা যায়, ৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া মেলার পর্দা নামবে ৮ ফেব্রুয়ারি। প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে মেলা চলছে রাত ১০টা পর্যন্ত। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য মেলার টিকেটের মূল্য ৩০ টাকা ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০টাকা। প্রথমবারের মতো এবার মেলার টিকিট এবার অনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে। মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাসহ মোট স্টলের মোট সংখ্যা রয়েছে ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়