শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৮:৩৯ সকাল
আপডেট : ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৮:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দশ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে মানববন্ধন

মো. ইউসুফ আলী বাচ্চু : ২০১৫ সালের পে স্কেল বহাল রাখা এবং দশ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্পের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে এ দাবি জানায় তারা।

মানববন্ধনে তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে শহর অঞ্চলের মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে।

প্রতি পাঁচ বছর পর পর নতুন করে দরপত্রের মাধ্যমে এনজিও নির্বাচিত করে প্রকল্পটি পরিচালিত করা হয়। বিগত প্রতিটি ফেইজে দরপত্র প্রক্রিয়ায় কর্মীদের বেতন গ্রেড নির্ধারণ করে এনজিওদের নিকট থেকে দরপত্র আহবান করা হয়। যেখানে প্রতিটি পার্টনারশিপ এলাকার কর্মীদের বেতন গ্রেড অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রায় সমান ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বর্তমান দরপত্র আহবানের কর্মীদের বেতন গ্রেড নির্ধারণ না করে প্রকল্পের অন্যান্য খরচের বিশাল বাজেট থেকে বরাদ্দ রেখে এনজিও দরপত্র আহবান করা হয়।ফলে অন্যান্য বাজেট কমানোর সুযোগ না থাকায় এনজিওরা সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়ার জন্য কর্মীদের বেতন কমানো মহোৎসবে মেতে ওঠে। ফলে, বাংলাদেশ সরকার দেওয়া ২০১৫ সালের পে স্কেল অনুযায়ী আরবানের কর্মীরা যে বেতন ভাতা ভোগ করে আসছিল, সেই বেতন-ভাতা কাঠামোর ধারাবাহিকতা আর থাকছে না। এমনকি এনজিও সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়ার প্রতিযোগীতায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো বা আন্তর্জাতিক শ্রম আইনের নিয়ম না মেনে কর্মীদের বর্তমান প্রাপ্য বেতনের অর্ধেক করে দরপত্র জমা দেওয়া হয়। ফলে আরবানের কর্মীরা চরম বেতন বৈষম্যের শিকার হতে চলছে।

মানববন্ধন থেকে দাবি জানানো হয়, বর্তমানে আমরা আরবানের ২৯০০ কর্মী দশ মাস যাবত বেতন পাচ্ছি না। তারপরও আমরা স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে চলমান রেখেছি। তাই, প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমাদের আবেদন ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল বহাল রেখে, সকল পার্টনারশিপ এলাকায় পদ অনুযায়ী সমান বেতন ও সকল কর্মচারীদের চাকরিতে বহাল রাখার সহ বিগত ১০ মাসের বকেয়া বেতন বোনাস পরিশোধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

মানববন্ধনে আরবান এর পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন ফিল্ড সুপারভাইজার রবিউল আওয়াল, এসিস্টেন্ট এডমিন নুরুল আলম খোকন, ডা. নুরজাহান, ডা. আসমা, সাধারণত কর্মীদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান, মোঃ খলিলুর রহমান স্বপন এবং স্বপন কুমার রায় সহ এছাড়াও আরবানের দুই শতাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়