জাবের হোসেন : কুড়িগ্রামে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুল চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। জেলা প্রশাসন ও কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ফুলচাষে আগ্রহী করে তুলতে নিয়েছে নানা পদক্ষেপ। এসএটিভি
কুড়িগ্রামে নার্সারী পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে কিছু ফুল চাষ ও চারা উৎপাদন হলেও বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ শুরু হয়েছে এবারই প্রথম স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে রাজারহাট, ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় কয়েকজন কৃষক বানিজ্যিকভাবে ফুল চাষ শুরু করেছেন। এতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে অল্প সময়ে বেশী লাভ করছেন তারা। তাদের দেখে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অন্যরাও।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, আমরা ফুল চাষ করে লাবভান হবো। অন্য ফসলের চেয়ে অল্প সময়ে ভালো ফলন হয়,যার কারণে আমরা ফুল চাষে আগ্রহী হেয়েছি। যশোর থেকে আনা রজনীগন্ধা, গøাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা, ক্যাবেজ, গোলাপের পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে সংগৃহীত গাঁদা, প্রজাপতিসহ নানা জাতের উন্নতমানের ফুল চাষ হচ্ছে।
ফুল চাষের ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যেই স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন চাষীরা।জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুল চাষ স¤প্রসারণে প্রনোদনাসহ মাঠ দিবসের মাধ্যমে উৎসাহিত করছেন কৃষকদের।
ফুল চায়ের মাধ্যমে ভিন্নমুখী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, এখানকার কৃষকরা ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছে। ফুল চাষ অন্য ফসলের চেয়ে বেশী লাভবান হবে এবং অল্প সময়ে এর ফলন ভালো হয় বলে চাষীরাও আগ্রহী হচ্ছে। এ জেলার মাটি ও আবহাওয়া ফুল চাষের উপযোগী। তাই কৃষকদের ফুল চাষে আগ্রহ করে বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা গেলে বদলে যাবে কৃষি নির্ভর এ জেলার অর্থনৈতিক চিত্র এমনটাই আশা সংশ্লিষ্টদের।