মোহাম্মদ মাসুদ : সড়কের ডিভাইডারে সামান্য পরিবর্তন এনেই নিশ্চিত করা যাচ্ছে যানবাহনের বিরামহীন চলাচল। পরীক্ষামূলক এই ইউটার্ন বেশ কার্যকর হয়েছে, যার প্রমাণ মিলবে রাজধানীর উত্তরায়। তিনটি ইউটার্ন পরীক্ষামূলকভাবে খুলে দেওয়ায় কমেছে যানজট। এতে বেশ খুশি যাত্রী সাধারণ ও চালকেরা। সূত্র : যমুনা টিভি
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) আশা করছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এ পদ্ধতি ছড়িয়ে দেয়া গেলে কমবে ট্রাফিকজ্যামের ভোগান্তি। যানজট ছাড়াই গাড়ি অনায়াসে চলে যাচ্ছে পছন্দমতো সড়কে। দিতে হচ্ছে না কোনো সিগন্যাল। বিশেষ ডিজাইনের ইউটার্নের বিশেষত্ব এটি। যানজট নিরসনে রাজধানীর তিনটি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে খুলে দেয়া হয়েছে এই ইউটার্ন।
চালকরা জানান, মোড়ে যে যানজট লাগতো এখন ইউটার্নের ফলে সিগন্যাল পড়ে না যানজটও হয় না। আগে জসিমউদ্দিন রোডে অনেক যানজট হতো, এখন ইউটার্নের ফলে খুব সহজে চলাচল করা যাচ্ছে।
ব্যস্ততম এই নগরীর যানজট নিরসনে বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে সমন্বয় করে, আবদুল্লাহপুর থেকে তেজগাও পর্যন্ত ১১টি পয়েন্টে নির্মাণ করা হবে বিশেষ এই ইউটার্ন। পরিকল্পিত এই ইউটার্নে সড়কের ডিভাইডারে সামান্য পরিবর্তন করে নিশ্চিত করা গেছে যানবাহনের বিরামহীন চলাচল।
আগে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রসিংয়ে লেগে থাকতো যানজট, সে দৃশ্য এখন আর তেমন দেখা যায় না। চিরচেনা যানজটও নেই বললেই চলে।
যানজট নিরসনে সফল পাওয়ায় আবদুল্লাহপুর থেকে সাত রাস্তা পর্যন্ত আরও আটটি স্থানে নির্মাণ করা হবে বিশেষ এই ইউটার্ন।
ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, টোটাল করিডোরে সিলেক্ট করেছি কয়টা পয়েন্ট থাকবে। যেখানে গাড়ি ইউটার্ন এবং রাইট টার্ন নিতে পারবে । যার ফলে আটায়ন রোডে গাড়ির স্পিড স্বাভাবিক থাকবে।
প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম যানজট নিরসনে বিশেষ ইউটার্নের এই ধারণাপত্র তৈরি করেন। বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশ পায় তার লেখা যা নজরে আসে কর্তৃপক্ষের। সম্পাদনা : আনিস রহমান
আপনার মতামত লিখুন :