জাহিদুল চন্দন : মানিকগঞ্জ জেলা শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ময়লা আর্বজনা ফেলার ড্রেনে পরিণত হয়েছে। কয়েকমাস আগে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা খালটি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। কিন্তু নাগরিকদের অসচেতনা আর কর্তৃপক্ষে নজরদারীর অভাবে খালটি ময়লা ফেলার ভাগারে পরিণত হয়েছে।
এই খালটির পাশেই জেলা প্রশাসককের কার্যালয়, জেলা আদালত, মুক্তিযোদ্ধা শিশুপার্ক, সরকারি স্কুল-কলেজ এবং জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপারের বাসবভনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের খালটি আর্বজনায় ভরা। কোথাও পানি জমে আছে আবার কোথাও ময়লার স্তুপের সৃষ্টি হয়েছে এবং কুচুরিপানায় ভরে আছে। এছাড়া খালের পাড়ে কয়েকটি হাইরেজ বিল্ডিং নির্মাণের কারণে মাটি ভরাটের ফলে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতবছরের ২৮ অক্টোবর পৌরসভার উদ্যোগে মানিকগঞ্জ শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটির পরিচ্ছন্নতার উদ্বোধন করেছিলেন জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস। সে সময় পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিমসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তার কয়েকদিন পর বন্ধ হয়ে যায় পরিচ্ছন্নতার কাজ।
সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ ও মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, খালের দুর্গন্ধের কারণে তাদের যাতায়াতে সমস্যা হয়। সুস্থ্য পরিবেশের কথা চিন্তা করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি তাদের।
পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম জানান, খালটি সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সচেতনতার অভাবে মানুষজন খালে ময়লা ফেলছেন। এরপরও মাঝে মধ্যেই খালটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে খালটি নাগরিকদের জন্য বিনোদনের স্থান হবে। জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস বলেন, খালটি পরিকষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য অভিযান শুরু করা হয়েছিল। খালটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখার জন্য নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। নাগরিক ও স্থানীয়রা সচেতন হলে খালটি পরিষ্কার রাখা সম্ভব হবে।