মঈন মোশাররফ : নিহত প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনের স্ত্রী চিকিৎসক রাজিয়া রহমান জলি বলেছেন, ২০১৬ সালের বইমেলায় যখন অংশ নেই দীপনের জাগৃতি নিয়ে তখন ভেবেছিলাম প্রকাশকদের এই মহাযজ্ঞে দীপন থাকবেন পুরো মেলা জুড়ে। তাঁর স্মারক থাকবে।
অথচ সেই মেলায় জাগৃতি সেই স্টল ছাড়া কোথাও দীপনের নাম উচ্চারিত হয়নি একবারের জন্যও। স্টলে প্রতিবাদ জারি রাখতে দীপনের স্মারক রেখেছিলাম। সেই সময় দীপনের বন্ধুদের সঙ্গে পাশে ছিলেন প্রিয়মুখ প্রকাশনীর প্রকাশক আহমেদ ফারুক শুভ। জাগৃতি বা দীপনপুর- কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দীপনের সন্তানদেরকে আস্থা দিতে হবে, তাদের মা এক মুহূর্তের জন্যও প্রতিবাদ থামায়নি। বুধবার ডয়চে ভেলেকে তিনি আরো বলেন জাগৃতি বা দীপনপুর-কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আসলে একটি প্রতিবাদ ।
তিনি বলেন, এরপরের পথচলা দীপনপুর আর জাগৃতি নিয়ে একসঙ্গে। আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংঘ আইপিএ দীপনকে সম্মানিত করেছে ২০১৮ সালে । শারজায় অনুষ্ঠিত পাবলিশার কনফারেন্সে ৩১ অক্টোবরকে বিশ্ব প্রকাশক দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশেও প্রত্যাশা ছিলো অনেক, ভেবে ছিলাম দীপনের নাম উচ্চারিত হবে প্রতিটি স্থানে গর্ব ও অহংকারে
। দাবি জানিয়ে ছিলো, শাহবাগ আজিজ সুপারমার্কেটের সামনের সড়কটি দীপনের নামে হোক। হয়নি বলে হাল ছেড়ে দেননি তিনি। জঙ্গি হামলায় নিহত একজনের নাম নিতেও ভয় পান তাঁর আশেপাশের মানুষেরা। কিন্তু তিনি জারি রেখেছেন তাঁর লড়াই । এবার দীপনের জাগৃতি বরাবরের মতো মাথা উঁচু করেই মেলায় আসছে ।
তিনি জানান, বই মেলায় জাগৃতির স্টলের ওপরে লেখা আছে ‘দীপনের জাগৃতি’। আর ট্যাগ লাইন ‘শুভবুদ্ধির উদয় হোক’। ২০১৫ সালে যেদিন একমাত্র পুত্র সন্তানকে হারিয়েছিলেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, সেদিন হত্যাকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আমি বিচার চাই না। আমি চাই শুভবুদ্ধির উদয় হোক। সেই বক্তব্যকেই ট্যাগ লাইন করেছে জাগৃতি।
আপনার মতামত লিখুন :