হ্যাপি আক্তার : বিএনপি বিহীন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের মাঠে সরব কেবল সরকার সমর্থকরা। কাউন্সিলপ পদে নির্দলীয় ভোট হলেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা আছেন দলীয় সমর্থনের আশায়। ২’শর বেশি মনোনয়নপত্র নেয়া হলেও জমা দিয়েছেন ১০ জন। নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোর বাসিন্দাদের মূল লক্ষ্য এলাকার উন্নয়ন। প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক নির্বাচনের আশায় সাধারণ মানুষ। যমুনা টেলিভিশন।
ঢাকা উত্তর সিটির পুরনো ৩৬ ওয়ার্ডের সাথে ১৮ নং ওয়ার্ড যুক্ত করা হয় দেড় বছর আগে। ভোট না হওয়ায় সেগুলো জনপ্রতিনিধি শূণ্য। ফলে উন্নয়নের গতি একেবারেরই মন্থর। নতুন করে ভোটের আশায় সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসী বলেন, সিটি করপোরেশনের আওতায় আনা হলেও এলাকায় উন্ননের ছোঁয়া একেবারেই পড়েনি। গ্যাস লাইন থাকলেও তার সংযোগ নেই সেই সাথে রাস্তাঘাটের অবস্থাও অনেক খারাপ। তাই সিটি নির্বাচনের যেই বিজয়ী হোক না কেন তার কাছে এলাকার উন্নয়ন আমাদের কাম্য।
নির্বাচনের বিএনপি না আসায় ভোটের তেমন কোনো উৎসব নেই। তবে ভোটের সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ চায় সাধারণ মানুষ।
দলীয় প্রতীকে মেয়ের নির্বাচন হলেও কাইন্সিলর পদটি নির্দলীয়। তবে বাস্তবতা হলো দলের সমর্থন নিয়ে মাঠে নামেন প্রার্থীরা। এবারও দলের সমর্থনের আশায় কেন্দ্রীয় মুখী সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
সম্ভব্য কাউন্সিলর প্রার্থী আতাউর রহমান ঢালী বলেছেন, সিটি করপোরেশন হলে এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। এলাকার মানুষের সাথে থেকে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের আপ্রাণ চেষ্টা করবো। সম্ভব্য কাউন্সিলর প্রার্থী ফারুক আহমেদ বলেছেন, ওখানে চেয়ারম্যান বা মেম্বার না থাকা অবস্থায়ও মানুষের জন্য কাজ করেছি।
সম্ভব্য কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, অবশ্যই দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেব। চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় এলায় যথেষ্ট উন্নয় কাজ করেছি। তাই আশা রাখি জনগণ সমর্থন দেবে।
কোনো কোনো এলাকায় বিএনপির নেতারা মনোনয়ন নিলেও তা জমা দেননি। দলীয় সিদ্ধান্ত মানার পক্ষে বেশির ভাগ নেতা। নতুন তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন জমা দেয়া যাবে ৩১ জানুয়রি পর্যন্ত। সম্পাদনা : জামাল