শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৯:০৩ সকাল
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৯:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাফুফের সভাপতি হলে তরফদার রুহুল আমিন ফুটবলে ব্যয় করবেন ৩২০ কোটি টাকা

এল আর বাদল : বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে টানা তিন মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে কাজী সালাউদ্দিন ফুটবলের মান কেবল তলানিতে নিয়ে গেছেন বলে বহুদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন ঢকা মহানগরীর প্রতিটি ক্লাব এবং বিভাগ ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।

আগামী বছর (২০২০) বাফুফের নির্বাচনে তারা সালাউদ্দিনকে আর দেখতে চান না। এবার তারা বাফুফের সভাপতি হিসাবে দেখতে চান নতুন এক ফুটবল সংগঠক জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচীব, বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিনকে।

ফুটবলকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ইতোমধ্যে অনেক কর্মসূচি পালন করেছেন এই নতুন সংগঠক। গত চার বছরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ফুটবলের পেছনে খরচ করেছেন ১৩০ কোটি টাকা। ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান হয়ে (বর্তমানে সহ সভাপতি) ফুটবল সংগঠক হিসেবে যাত্রা, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে শেখ কামাল আর্ন্তজাতিক ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের একক পৃষ্ঠপোষকতা, ২০১৮ সালে বাফুফের আয়োজনে চট্টগ্রামে বিভিন্ন টুর্নামেন্টের স্পন্সরশীপ (বিএসএল, বিপিএল) সহ ঢাকা মহানগরী প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয়, তৃতীয় বিভাগ এবং লিগের ৪৮টি দলকে আর্থিক সহায়তা ছাড়াও কম্পিউটার ও প্রিন্টার দিয়েছেন।

এছাড়া জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে এবং ৬৪ জেলার প্রতিটিতে ৩ লাখ করে দিয়েছেন নিয়মিত জেলা ফুটবল মাঠে রাখতে। ফুটবলকে চাঙ্গা করতে গঠন করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন।

যে সংস্থার সভাপতি তরফদার নিজেই। তিনি ‘সাইফ স্পোর্টিং’ নামে একটি ফুটবল ক্লাবও গঠন করেছেন যে ক্লাবটি বর্তমানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলছে। এছাড়া আরও একটি ৩য় বিভাগের দল কিনে নিয়েছেন। মুক্তহস্তে ফুটবলের পেছনে অঢেল অর্থ খরচের কারণে খুব দ্রুতই ফুটবল অঙ্গণে প্রাণ-পুরুষ হিসাবে খ্যাতি পেয়েছেন তরফদার রুহুল আমিন।

ঢাকা নগরীর ক্লাবগুলো এবং বিভাগ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা মনে করছে, দেশীয় ফুটবলের শাসক সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্বভার তরফদার রহুল আমিন পেলে আর্থিক দৈণ্যদশা থেকে মুক্তি পাবে দেশের ফুটবল, পাশাপাশি দেশব্যাপী ফুটবলের উত্তরোত্তর উন্নতিও হবে।

এ ব্যাপারে তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ফুটবল সংগঠকরা আগামীতে আমাকে বাফুফের সভাপতি হিসাবে দেখতে চাইছেন। আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২০২০ সালের নির্বাচনে আমি সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। তিনি বলেন, বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ফুটবলের একজন কিংবদন্তী।

ফুটবল অঙ্গণে তিনি সকল আলোচনার ঊর্ধে। রুহুল আমিন আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনে সালাউদ্দিন চতুর্থবারের মতো সভাপতি পদে লড়বেন শুনেছি। তার নির্বাচন করাটা কতোটা যুক্তি সঙ্গত, ফিফার নিয়ম নীতি লঙ্ঘন হবে কীনা সেটা তিনি ভালো বলতে পারবেন।
তরফদার রুহুল আমিন বলেন, গত ১০ বছর সালাউদ্দিন পরিকল্পনা ছাড়াই ফুটবল চালিয়েছেন। যে কারণে দেশের ফুটবলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। খাদের কিনারে পড়ে আছে ফুটবল।

আমি বাফুফের দায়িত্ব পেলে তৃণমূল পর্যায় থেকে ফুটবলার তুলে আনবো। ফুটবলের নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমার বছর অতিক্রান্ত হবে। তিনি বলেন, ফুটবলের জাগরণ সৃষ্টি করতে প্রতি বছর কম পক্ষে ৮০ কোটি টাকা করে চার বছরের মেয়াদে ৩২০ কোটি টাকা খরচ হবে। রুহুল আমিন বলেন, এই টাকার বেশিরভাগই আমি ব্যক্তিগতভাবে বহন করবো। বাকিটা প্রতি বছর ফিফার দেয়া সাড়ে ৭ লাখ ডলার আর স্পন্সরশীপ থেকে মেটানো হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়