হ্যাপি আক্তার : বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। প্রতি বছর এখানে ছুটে আসেন দেশি-বিদেশি লাখ লাখ পর্যটক। কিন্তু সৈকত এলাকায় কোনো ধরণের চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র না থাকায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে ভ্রমণ পিপাসুরা। লাইফ গার্ড কর্মীদের দাবি, প্রাথমিক চিকিৎসার অভাবে অনেক পর্যটকের মৃত্যুসহ প্রায়ই সময় বিপাকে পড়ছে। তবে সৈকত এলাকায় পর্যটকদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। সময় টেলিভিশন।
কক্সবাজারে প্রতি বছর বেড়ানোর জন্য ছুটে আছে ১৫ লাখের অধিক দেশি-বিদেশি পর্যটক। আর এই পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউতে খেলা করা, টিউব নিয়ে লোনা জলে গা ভাসানো ও বালিয়াড়িতে দৌড়াদৌড়িতে মেতে উঠে। কিন্তু এসব আনন্দ করতে গিয়ে পর্যটকদের প্রায়ই সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। পর্যটকরা বলছেন, সমুদ্রে বেড়াতে এসে অনেক সময় অনেকেই আঘাত পায়, সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। সে জন্য এখানে কোনো তাৎক্ষণিক চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই।
পর্যটকদের দুর্ঘটনা থেকে উদ্ধার করতে সৈকতে নিয়োজিত ২টি লাইফ গার্ড সংস্থা। তারা বলছেন, দুর্ঘটনা কবলিত পর্যটকদের উদ্ধার করা হলেও সৈকত এলাকায় কোনো ধরণের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র না থাকায় অনেক সময় মানুষ মারা যায়। সমুদ্র পাশেই প্রাথমিক সেবা কেন্দ্র থাকলে হয়তো তারা মারা যেত না।
অন্তত সৈকতের ৩টি পয়েন্টে পর্যটকদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র নির্মাণের দাবি জানালেন কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির নেতা আবু তালেব শাহ। তিনি বলেন, ‘যদি পয়েন্ট ওয়াইজ করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেবাটা দেয়া সম্ভব। এটা অনেকভাবে এক্সপ্লোর হবে। টুরিস্টরাও নিরাপত্তা বোধ করবে।
তবে, সৈকত এলাকায় পর্যটকদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘হয়ত আদালতের নির্দেশনা সাপেক্ষে আমাদের পরিকল্পনা আছে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রæ নির্মাণের।’ লাইফ গার্ড সংস্থার দেয়া তথ্য মতে, গত ৫ বছরে কক্সবাজার সৈকতে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জন পর্যটকের। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫০ জন পর্যটককে।
আপনার মতামত লিখুন :