দেবদুলাল মুন্না : বিশ্বের কুখ্যাত খুনী আইলিন ওয়ারনোস। তাকে নিয়ে ২০০৩ সালের মুভি “মনস্টার” হয়েছে। “আমেরিকান হরর স্টোরিঃ হোটেল” সিরিয়াল হয়েছে। । কিন্তু তার ঝামেলাপূর্ণ জীবনের অনেক অংশই রয়ে গেছে পর্দার আড়ালে।
১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারিতে জন্ম নেয়া আইলিনের শৈশব ছিল বিষাদময়। ছয় বছর বয়সে রেপ হন আপন নানা কর্তৃক। ছিলেন গৃহহীন। রেপ হওয়ার পর তিনি গোটা পুরুষজাতিকে খুন বরে প্রতিশোধ নিতে চান। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে ৭ পুরুষকে খুন করেন। ২০০২ সালে তার মৃত্যদ- কার্যকর করা হয়।
আইলিনের বাবা লিও একজন স্কিজফ্রেনিয়ার রুগী ছিলেন। আইলিনের বয়স যখন মাত্র ৪ বছর তখন তাকে নানা নানীর কাছে রেখে চলে যায় তার মা।
মাত্র ১৫ বছর বয়সী আইলিন পতিতাবৃত্তি শুরু করেন ।
এই সময়ে আইলিনের দেখা হয় টাইরিয়া মোরের। মোর পেইন্টার। আইলিন পতিতাবৃত্তি করে তার রং তুলি কাগজ কিনে দিতেন। ভালবাসতেন শিল্পীসত্ত্বাকে। আবার খুন করার নেশাও ছিল। যে কারো সাথে ঝামেলা বাঁধলেই গুলি করে বসতেন। ১৯৯১ সালে ৯ই জানুয়ারি, ভলুসিয়া কাউন্টির “দ্য লাস্ট রিসোর্ট” থেকে আইলিন গ্রেফতার হন এবংপরদিন পেনসিলভানিয়া থেকে মোর কে গ্রেফতার করে পুলিশ। মোর পুলিশের কাছে নিজের মুক্তির আবেদন করে বিনিময়ে সে আইলিনের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিয়ে দিবে বলে জানান। পুলিশ মোর কে ফ্লোরিডায় এনে একটি মোটেলে রাখে যেখান থেকে সে আইলিনের কাছে অসংখ্যবার ফোন কল করে সব অপরাধ স্বীকার করে মোর কে মুক্ত হতে সাহায্য করার জন্য।
অবশেষে ১৬ জানুয়ারি, ১৯৯১ সালে আইলিন সব স্বীকার করে নেয়। সে দাবি করে সে যাদের কে হত্যা করেছে তারা সবাই তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল করেছিল।২০০১ সালে একটি পিটিশনে সে আবেদন জানায় তার পক্ষে সরকারি উকিল বাতিল করতে এবং সকল প্রকার আপিল বাতিল করতে। সেই পিটিশনে লিখেন ‘ আমি পতিতা হতে পারি। কিন্তু আমাকে রেপ করার অধিকার কারো নেই। ’
তার শেষ কৃত্যানুষ্ঠানে নাটালি মারচেন্ট এর “কার্নিভাল” গান টি বাজানো হয়। তার মৃত্যুর পর মোর পেইন্টিং ছেড়ে দিয়ে নান( খ্রিস্ট্রান সন্ন্যাসী) হয়ে যান।
আপনার মতামত লিখুন :