হ্যাপি আক্তার : তৃণমূল পর্যায়ে ক্যান্সার হাসপাতাল না থাকায় বহু রোগীই থেকে যাচ্ছেন চিকিৎসা সেবার বাইরে। যারা সেবা নিতে পারছেন, তারাও ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই ক্যান্সার চিকিৎসা ও গবেষণায় সরকারি বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। একইসাথে জীবন-যাপনে পরিবর্তন আনাসহ ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা গেলে, দ্রæত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার তাগিদ তাদের। চ্যানেল ২৪।
রাজধানীর মহাখালীতে ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের কেউ সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করে, নয়তো এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চিকিৎসা চালাচ্ছেন। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেই যারা হিমশিম খাচ্ছেন, বেসরকারি হাসপাতালে যাবার কথা তো তারা ভাবতেই পারেন না।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশে প্রাইভেট যে হাসপাতলগুলো আছে সেখানে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ। ফিজিওথেরাপির নেয়ার সামর্থ্য সাধারণ মানুষের নাই। যে কারণে অনেকেই চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি চলে যান।
আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএআরসির তথ্য মতে, শুধু ২০১৮ সালেই নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন, দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। মারা গেছেন ৯১ হাজার মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার পাশাপাশি প্রাথমিক অবস্থাতেই সনাক্ত করা গেলে, ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেছেন, খুসখুসে কাশি বা ভাঙা কন্ঠস্বর, সহজে যদি ঘা না শুকায়, শরীরের কোথায়ও যদি চাকা চাকা মনে হয় এবং মল-মূত্র ত্যাগের পরিবর্তন এই কারণে সপ্তাহ ধরে টানা চিকিৎসার পরেও যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে, ক্যান্সারের কথা মনে করে ডাক্তার বা হাসপাতালের পরামর্শ নেয়া উচিত।
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ডা. রশীদ-ই-মাহবুব বলেছেন, আমাদের যে গ্রস ইকনোমি এবং এখানে আমরা যে বিনিয়োগ করি, সে হিসেবে ক্যান্সারের জন্য কোনো বিনিয়োগই নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী প্রতি ছয়টি মৃত্যুর একটিই ঘটেছে ক্যান্সারে। যার ৭০ শতাংশই মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশে। সম্পাদনা : রেজাউল আহ্সান
আপনার মতামত লিখুন :