মাহফুজ নান্টু : কুমিল্লা জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে দেড় লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষা মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৫৫ শতাংশ আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন শেষ হবে।
কুমিল্লা আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কুমিল্লা জেলায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ২শ’ ৪৪ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৫৫ ভাগ জমিতে বোরো রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শেষে বাকি জমিতেও বোরো ধান রোপণ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এ বছর বোরো আবাদের জন্য উপজেলা ভিত্তিক সার ও পানি সেচের দর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
কুমিল্লা আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দিলিপ কুমার অধিকারী জানান, সরকারি প্রনোদনার পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর কুমিল্লা জেলায় বোরো আবাদের পরিমান বেড়েছে। আগামী সপ্তাহখানের মধ্যে জেলায় বোরো আবাদ সম্পন্ন হবে। উপজেলা ভিত্তিক সেচ-সারের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। যদি কোন ডিলার সারের দাম নিয়ে কোন অনিয়ম করে কিংবা সেচের নির্ধারিত মূল্য নিয়ে কোন হেরফের করে তাহলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুরতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর কৃষি শ্রমিকের মজুরি তিন বেলা খাবার বাদ দিয়ে দিনপ্রতি ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা। প্রতি ৪০ শতক জমিতে সেচের জন্য দিতে হবে ১৬শ’ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতি ৪০ শতক জমিতে বোরো আবাদের জন্য কৃষকদের গুণতে হচ্ছে গড়ে ৭/৮ হাজার টাকা। এ কারণে অনেকেই ধান চাষ বাদ দিয়ে পুকুর কেটে মাছ চাষ কিংবা দ্রুত বর্ধনশীল বাণিজ্যিক শস্য উৎপাদনে উৎসাহিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :