আক্তারুজ্জামান : চট্টগ্রামে আজকের দিনটা অন্যান্য দিনের মতো ছিল না। যদি তাই হতো তবে কি এরকম রান হতো! আগের ছয় ম্যাচে যেখানে রানের বন্যা বয়ে গেছে সেখানে আজকের দু-দুটো ম্যাচই ম্যাড়ম্যাড়ে। দিনের শেষ ম্যাচে রাজশাহী তো দাঁড়াতেই পারেনি মাশরাফির রংপুরের সামনে। যদিও একটু প্রতিরোধ গড়তে চেয়েছিল কিন্তু ক্যাচ মিসের খেসারত দিয়ে ম্যাচটিই হেরেছে মিরাজরা। রাজশাহীর ছুঁড়ে দেওয়া ১৪২ রান ছুঁতে কোনো বেগ পেতে হয়নি রাইডার্সদের। ৬ উইকেট ও ১১ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে রাইডার্সরা।
১৪২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মিরাজের বলে ক্রিস গেইল (১০) ফিরে যাওয়ার পরই ম্যাচে উত্তেজনা শুরু হয়। কিন্তু হেলস, রুশো আর ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটে সব উত্তেজনা মিইয়ে যায়। গত ম্যাচে ব্যর্থ রুশো আজ ফিফটি করতে ভুল করেননি। তাকে সঙ্গ দিয়ে হেলস ১৬ ও ভিলিয়ার্স করেন ৩৭ রান। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ মিথুন (৪) ও নাহিদুল ইসলাম (১১)অপরজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। রাজশাহীর হয়ে মিরাজ, কায়েস, আরাফাত ও রাব্বী একটি করে উইকেট নেন।
সাগরিকায় এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে রাইডার্সের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি মিরাজের রাজশাহী। তবে শেষ দিকে লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪১ রান তোলে রাজশাহী। দুই ওপেনার চার্লস আর সৌম্য দলের শুরুটা ভালোই করেছিলেন। ২.৩ ওভারেই স্কোরবোর্ড ১৮ রান তুলে ফেরেন চার্লস। মুমিনুল আজও ব্যর্থ।
আরেক বাঁহাতি সৌম্য ১৬ বলে ১৪ করে ফেরেন। ৩১ বলে ৩৫ রানে লড়াই করছিলেন ইভান্স। এরপর জনকার, ফজলে মাহমুদ, আর কায়েস আহমেদের তিনটি ছোট ইনিংস দলকে মোটামুটি সম্মানজনক একটা জায়গায় দাঁড় করিয়েছে। জনকার ১১ বলে ১৬, ফজলে ১৮ আর কায়েস ২০ বলে করেন ২২ রান। রংপুরের ফরহাদ রেজা ৩০ রানে ৩ উইকেট নেন। নাজমুল ও শহিদুল দুটি করে উইকেট নেন।
এই ম্যাচে জয়ের পর সাত জয়ে টেবিলের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে মাশরাফিরা। রংপুরের মতো কুমিল্লারও সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। রান রেটের ব্যবধানে এগিয়ে আছে রংপুর। ছয় জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে চট্টগ্রাম। পাঁচটি করে জয় নিয়ে ঢাকা চারে ও রাজশাহী আছে সেরা পাঁচে।
আপনার মতামত লিখুন :