শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৯, ০২:১৬ রাত
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৯, ০২:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিলেটের আলুরতলে বণ্যপ্রাণীর আধার টিলাগড় ইকোপার্ক

সাত্তার আজাদ, সিলেট: সিলেটের টিলাগড়ে দেশের তৃতীয় ইকোপার্কে বাড়ছে দর্শনার্থীর ভিড়। এক সময়ের নির্জন এলাকা টিলাগড় আলুরতল। চারপাশের উঁচুনিচু টিলার গা ঘেঁষে চলা পথে আলুরতলে যেতেই ভয় হত। স্থানীয়ভাবে প্রচলিত আলুরতল নামক সেই টিলাগড় ইকোপার্ক দেখতে এখন টিকিট কেটে মানুষজন যাচ্ছে সেখানে।

শত ব্যস্ততার মধ্যে দু‘দন্ড শান্তির জন্য নির্জন প্রকৃতির কোলে কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যেতে সিলেট এমসি কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পাড়ি দিয়ে বন, পাহাড়, টিলাঘেরা স্থানে টিলাগড় ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়। নগরীর উত্তর-পূর্ব কোণে শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। ১১২ একর বন নিয়ে টিলাগড় এলাকায় দেশের তৃতীয় ইকোপার্কটি স্থাপিত হলে এর নামকরণ করা হয় ‘টিলাগড় ইকোপার্ক সিলেট’। টিলাগড় ইকো পার্কটি কয়েকটি ছোট ছোট টিলা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। এটি সিলেট বনবিভাগ, বন অধিদপ্তর, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ইকোপার্ক প্রকল্প।

সরকারি উদ্যোগে রাজধানীর মিরপুর ও রংপুরের পর সরকারিভাবে সিলেটে এটি তৃতীয় ইকোপার্ক প্রকল্প। ২০১২ সালের ৩ অক্টোবরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একসভায় সিলেটে দেশের তৃতীয় সরকারি ইকোপার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।

উদ্ভিদ সম্পদের প্রাচুর্য্যময় সিলেটের এই ইকো-পার্কে দেশিয় জীবজন্তুর একটি বড় আবাসস্থল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পার্কটিতে এখনো পর্যাপ্ত পরিমান জীবজন্তু না থাকায় কিছুটা হতাশ দর্শনার্থীরা।

পার্কে সংশ্লিষ্টরা তৈরি করেছে, বন বিভাগ সিআইসিট স্টাফ ব্যারাক, জেব্রা শেড, সাইড ড্রেন, টিকেট কাউন্টার, অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ সংযোগ, বন বিড়াল ও গন্ধ গোকুলের ঘর, ৪টি সেন্ট্রি পোস্ট, ২টি বক্স কালভার্ট, ফিজেন্ট এভিয়ারী, বিদ্যমান পুকুর পুনঃখনন, ফিড এন্ড ফুড প্রিজারভেশন স্টোর, পাবলিক টয়লেট, বাউন্ডারী ওয়াল, ৫টি আরসিসি বেঞ্চ, তৃণভোজী প্রাণীর শেড ও বেষ্টনী, পানি সরবরাহ শ্যালো টিউবওয়েল। এছাড়াও আহত ও উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীর চিকিৎসার জন্য বন্যপ্রাণীর পুনর্বাসন ও হাসপাতাল স্থাপন পক্রিয়াধীন। এতকিছু হওয়ার পরও সেখানে জীবজন্তুর পূর্ণাঙ্গ আধার সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি।

ইকোপার্কজুড়ে রয়েছে বণ্যপ্রাণীর বাসযোগ্য চাহিদার ঘন গাছ-গাছালি। শাল, গর্জন, চাপলিশ, কদম, জারুল, চম্পা, নাগেশ্বর, দেবদারু, ছাতিম, সোনারু, হরিতকি, বহেরা, অর্জুন, বড়ই, রাতা, তুন লোহাকাঠ, বনাক, রামডালা, জামসহ নানা প্রজাতির বেত গুল্ম এবং লতা। যা দেখার মত এই পার্কটিকে অপূর্ব রূপ সৃষ্টি করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়