স্পোর্টস ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের জাতীয় দলে ইমরুল কায়েস দলে না থাকার আক্ষেপ ব্যক্ত করেছেন। তিনি জানান, ‘আমি নিজেও জানি না আমি কেন দলে নেই, ভালো খেলার পর সিরিজগুলো কেন খেলতে পারি না এ বিষয়ে আমি পরিষ্কার না।’
জিনিসগুলো ক্লিয়ার হওয়া আমার জন্য ভালো। কারণ আমি নিজেও তাহলে সে অনুযায়ী অনুশীলন বা প্রস্তুতি নিতে পারি, চট্টগ্রামে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন ইমরুল কায়েস।
তিনি বলেন ১০ বছর ধরে এভাবেই খেলে আসছেন তিনি, ‘গত দশ বছর ধরে তো এভাবেই খেলে আসছি। আমি ওভাবেই মানসিকভাবে তৈরি থাকি। যখনই সুযোগ পায় জাতীয় দলে খেলার জন্য, ভালো করার চেষ্টা করি।’
প্রধান নির্বাচক মিহাজুল আবেদীন নান্নু অবশ্য দল ঘোষণার ক্ষেত্রে বলেছেন এখানে ফর্ম আর কন্ডিশন ভিন্ন। নান্নু বলেছিলেন, ‘ফর্ম ও কন্ডিশন বিবেচনায় ওকে বাদ দেয়া হয়েছে, কিন্তু এখানে কাউকে উপেক্ষা করা হয়নি।’
‘তিনটা ওয়ানডের জন্য যারা যাচ্ছে ওদের প্রস্তুতি কতটুকু এটা দেখতে হবে, এর সাথে দেখা হবে যারা যাবেনা তাদেরটাও পর্যবেক্ষণ করা হবে, এরপর আয়ারল্যান্ড ও বিশ্বকাপের দল বিবেচনা করা হবে’ বলেছিলেন নান্নু।
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে শেষ ১০ ইনিংসে ইমরুল মোট রান করেছেন ৪১৫। যার মধ্যে আছে দুটি শতক ও দুটি অর্ধশতক। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি ইনিংসে, ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি করে ইনিংসে ইমরুল দুই অঙ্কের রান পাননি।
অন্যদিকে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে চার নম্বরে আছেন ইমরুল। ৮ ওয়ানডে ম্যাচে তার রান ৪৩৬, গড় ৬২.২৮ এবং স্ট্রাইক রেট ৯০.৪৫। তবে সেরা পাঁচের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট তার। বাকিদের অবস্থা কেমন?
মুশফিক ১৯ ইনিংসে ৫৫ গড়ে ৭৭০ রান স্ট্রাইক রেট ৮২.৩৫। একই সময়ে তামিম খেলেছেন ১২টি ইনিংস। ৮৫.৫০ গড়ে রান ৬৮৪ স্ট্রাইক রেট ৭৬.৩৩। ১৩টি ইনিংস খেলা সাকিবের রান ৪৯৭। ৩৮.২৩ গড় এবং স্ট্রাইক রেট ৮৩.৯৫। মাহমুদউল্লাহ ১৬ ইনিংসে ৩২.২৩ গড়ে ৪১৯ রান এবং স্ট্রাইক রেট ৭৫.৩৫।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ সিরিজের পরিসংখ্যান : নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ইমরুল কায়েস। ওই সিরিজে ইমরুল কায়েস ৩ ম্যাচ খেলে করেন ১১৯ রান, যেখানে তামিম ইকবাল ৩ ম্যাচ ব্যাট করে ১১৫ রান তোলেন। সাকিব ৩ ম্যাচে ৮৪ রান নিয়ে ছিলেন তৃতীয়। বিবিসি
আপনার মতামত লিখুন :