জহিরুল হক বাপি
পাকিস্তান আসলে কোনো দেশ নয়। এটা ক্যান্টনমেন্ট সমিতি বা লি. কোং.। সেখানে জনগণের পরিচয়ও অন্য রকম। জনগণ শুধু ‘সামরিক বাহিনী আর জঙ্গি’। পাকিস্তানে বর্তমানে ক্যান্টনমেন্ট দুই রকমের। ক. সাধারণ ক্যান্টনমেন্ট খ. তালেবান ক্যান্টনমেন্ট। দুই ক্যান্টনমেন্টের সেনা আর তাদের দোসরদের পাকিস্তানের জনগণ বোঝানো হয়। বাকি সব ধইঞ্চা, কৃতদাস, ফালতু জাতীয় কিছু।
পাকিস্তান যুগের পর যুগ ধরে বিভিন্ন জাতিকে, প্রদেশকে শোষণ করছে, মহিলাদের ধর্ষণ করছে, লুট করছে যুগের পর যুগ। বালুচিস্তানের একজন খুব আক্ষেপ করে আমাকে বলেছিলোÑ আমরা তোমাদের বহু আগে থেকে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছি। কিন্তু আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো নেতা নেই বলে আমরা আজও স্বাধীনতা পাইনি। একাত্তরে পাকিস্তানিরা তোমাদের সঙ্গে যা করেছে আমাদের সাথে নিয়মিত তা করছে।
পশতুনদের অবস্থাও প্রায় একই। বেলুচদের চেয়ে সম্ভবত একটু কম নির্যাতিত। অবশেষে পশতুনরাও স্বাধীনতার ডাক দিয়েছে। পশতুনস্তান লিবারেশন আর্মি একশ্যান শুরু করেছে। পৃথিবীর পাপের ভাগাড় পাকিস্তানের নাম হওয়া উচিত ছিলো পাপীস্তান। পাকিস্তান মানে পবিত্র। পশতুনদের অবস্থা বেলুচদের মতো হতে পারে। পাপীস্তান নৃশংসতায় প্রথম। তাদের সব বীরত্ব নিরস্ত্র মানুষের সাথে। তারা ছোট বড় অনেক যুদ্ধ করেছে। কিন্তু কোনো যুদ্ধেই তাদের জেতার কোনো ইতিহাস নেই। এমন কি তাদের বানানো জঙ্গি, তালেবানের সাথে যুদ্ধ করে এলাকা ছাড়তে হয়েছে। পাপীস্তানে তালিবানরা আলাদা সরকার আদালত চালায়। হাহাহাহা হাসা ছাড়া উপায় নাই। যাইহোক পশতুনরা যদি আন্তর্জাতিক বন্ধু টানতে না পারে, বিশ্ব মিডিয়ায় স্পষ্টভাবে তুলে বিশ্ব জনমত টানতে না পারে তবে যুদ্ধ সংক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। তবে বিচ্ছিন্ন ছোটখাট হামলা চলতে পারে বেলুচদের মতো। এতে তেমন একটা লাভ হচ্ছে না বরং নির্যাতন বাড়ছে। ক্যান্টনমেন্ট সমিতি বা পাকিস্তান যেমন সমরাস্ত্রে পরা শক্তি তেমনি নৃশংসতা, কাপুরুষতায়ও অদ্বিতীয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :