স্মৃতি খানম : ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেছেন, উত্তর প্রদেশ হলো এমন একটি রাজ্য যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন যারাই দখল করেছে তারাই দিল্লিতে সরকার গঠন করেছে। এবার ৮০ আসনের ওই রাজ্যে বহুজন সমাজপার্টি এবং সমাজবাদী পার্টির সার্বিক আসন সমঝোতা হয়ে যাওয়ার পর শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেসও তাদের সঙ্গে সহযোগিতার বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছে। একই সঙ্গে সেখানকার জোটে আছে অজিত সিংয়ের রাষ্ট্রীয় লোকদল। এই জোট যদি শেষ পর্যন্ত নিটোল হয় এবং তার ফলে সেখানে বিজেপিবিরোধী ভোট দ্বিধাবিভক্ত না হয়, তবে যেকোনো অপরিপক্ব মস্তিষ্কের মানুষও বুঝে যাবেন, যোগি গড়, তথা মোদিরও গড় উত্তর প্রদেশে বিজেপির আসন সংখ্যা পাঁচের বেশি পেরুবে না। আর এই পরিস্থিতিতে আরো অনিবার্য করে তুলবে আসরে প্রিয়াঙ্কার অবতীর্ণ হওয়ার ঘটনা। শুধু বিজেপিকে হারানোই নয়, প্রিয়াঙ্কাকে সক্রিয় রাজনীতিতে নামিয়ে শুধু উত্তর প্রদেশের ওই স্ট্র্যাটেজিক এলাকায় দায়িত্ব দিয়ে গোটা নির্বাচনী আসরে কংগ্রেস নেতৃত্ব তাদের দলকে বাড়তি ও নতুন উদ্দীপনায় হাজির করার কৌশল নিয়েছে, যাতে থমকে যাবেন অখিলেশ-মায়াবতীরাও। সে ক্ষেত্রে ৩৮+৩৮+২+২ এই অঙ্ক বদলে গিয়ে অখিলেশ-মায়াবতীরা কংগ্রেসের জন্য আরো কিছু আসন ছেড়ে রফায় রাজি হতে পারেন। এটাই অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। সূত্র : কালের কন্ঠ
তিনি আরও বলেন, উত্তর প্রদেশ থেকে কেন্দ্রে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় গরিষ্ঠতার সম্ভাবনার বার্তা যদি এভাবে পতাকা ওড়াতে পারে, তাহলে হিন্দিবলয়ের অন্যান্য রাজ্যেও কংগ্রেস আরো বেশি বেশি করে উদ্দীপ্ত হবে। মানুষও কেন্দ্রে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের পুনঃপ্রত্যাবর্তন সুনিশ্চিত জেনে আরো বেশি বেশি করে ‘হাতে হাত’ লাগাতে এগিয়ে আসবে। ফলে ২৩ জানুয়ারি বুধবার প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে কংগ্রেস যে নতুন ব্রহ্মাস্ত্রটি ছাড়লো, তাতে ঘায়েল হবে অনেক পক্ষই। এতে অবশ্য কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘পারিবারিক শাসনের’ অভিযোগ আরেকটু জোরালো হবে, কিন্তু উত্তর প্রদেশসহ হিন্দিবলয়ের ব্যাপক অংশের মানুষের মধ্যে নেহরু পরিবার সম্পর্কে যে দুর্বলতা রয়েছে, তাকে কংগ্রেস যে এখনো ষোলো আনা কাজে লাগাতে চায়, তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট।
আপনার মতামত লিখুন :