শিরোনাম
◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৩:৪৫ রাত
আপডেট : ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৩:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘আর আমদানি করতে হবেনা বিষাক্ত চিনি,পশুখাদ্য এবং রাসায়নিক সার’

মতিনুজ্জামান মিটু: বাংলাদেশে শুরু হয়েছে সুগারবিটের চাষ। ২০২০ সাল থেকেই নিরুতসাহিত হবে বিষাক্ত চিনি, পশুখাদ্য এবং রাসায়নিক সার আমদানি। বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যসোসিয়েশন এ্যাগ্রো প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সহায়তায় সিরাজগঞ্জ জেলায় সুগারবিট উৎপাদন শুরু করেছে।

বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যসোসিয়েশনের একটি সদস্য প্রতিষ্ঠান এ বছরেই সিরাজগঞ্জ জেলায় একটি বিট সুগার মিল স্থাপনের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। কারখানাটি স্থাপন হলে এ কারখানা থেকেই উৎপাদন হবে বছরে প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন চিনি, দেড় লাখ টন পশুখাদ্য ও দেড় লাখ টন জৈবসার।

বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুস ছালাম বললেন সিরাজগঞ্জ জেলার মাটি সুগারবিট চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এ জেলাটি দুধ ও মাংসের খনি হওয়া সত্ত্বেও কয়েক লাখ টন পশুখাদ্যের ঘাটতি রয়েছে। তিনি আরো বললেন আমাদের দেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ টন চিনি প্রয়োজন। এর মধ্যে উৎপাদন করি মাত্র ২ লাখ টন। অবশিষ্ট ১৮ লাখ টন আমদানি করি। অথচ শুধুমাত্র সিরাজগঞ্জ জেলাতেই সুগারবিট চাষ করে প্রায় ৩ লাখ টন চিনি, ৩ লাখ টন পশুখাদ্য এবং ৩ লাখ টন জৈবসার উৎপাদন করা সম্ভব।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, আখ ১৪ মাসের ফসল এবং ১০০ কেজি আখ থেকে চিনি হয় মাত্র ৬ কেজি এবং আখের ছোবরাকে শুধুমাত্র জ্বালানী হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। আর এ কারণেই প্রায় ৮০ বছর আগে ইউরোপসহ অনেক দেশ আখ চাষ বন্ধ করে সুগারবিট চাষ শুরু করে। অপরদিকে সুগারবিট মাত্র ৫ থেকে ৬ মাসের ফসল এবং ১০০ কেজি সুগারবিট থেকে প্রায় ১৫ কেজি চিনি পাওয়া যায়। সুগারবিট থেকে গুড় বা চিনি উৎপাদন করার পর, পাল্প পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। এর পাতা সবুজ শাক, সবুজ সার এবং পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।

মুহাম্মদ আব্দুস ছালাম আশ্বাস দেন, তিনি সারাদেশের ২ লাখ হেক্টর চরাঞ্চলে এবং বেলে-দোঁআশ মাটিতে সুগারবিট চাষ করাবেন এবং প্রায় ১০টি বিট সুগার মিল স্থাপন করবেন বা করাবেন যাতে আমাদের মোট চিনি, পশুখাদ্য এবং সারের চাহিদা সহজেই মিটে যায়।

উল্লেখ্য বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুস ছালাম, সহ সভাপতি শামীম মাহদী, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমিনুল হক স¤প্রতি সিরাজগঞ্জ জেলার একটি সুগারবিট ক্ষেত পরিদর্শন করেন। তারা ফসলের চেহারা, স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধি দেখে খুবই খুশী এবং ভীষণ আশাবাদী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়