স্পোর্টস ডেস্ক: বিপিএলে লুইস তার প্রথম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন বরিশাল বুলসের হয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে। তাও মাত্র ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে। ২০১৫ সালে করা সে সেঞ্চুরির পর আবার এদিন করলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে। এদিন তামিম ইকবালের সঙ্গে কুমিল্লার ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমেছিলেন লুইস। দারুণ এক জুটি গড়ে তামিম আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত খেলেছেন লুইস।
১০৯ রানের ইনিংস খেলেছেন লুইস। শুরু থেকেই ঝড় তুলে মাত্র ৪৯ বলে করেছেন এ রান। এদিন চারের চেয়ে ছক্কা মারায় মনযোগী ছিলেন এ ব্যাটসম্যান। ৫টি চার সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন ১০টি। শরিফুল ইসলামের বলে একটি করে চার ও ছক্কা মেরে ঝড়ের ইঙ্গিত দেন লুইস। তবে সবচেয়ে বেশি তোপ দাগিয়েছেন তরুণ নূর আলম সাদ্দামকে। তার করা ১৪তম ওভারে মেরেছেন ৪টি ছক্কা। মোট ২৭ রান দিয়েছেন তিনি। ৩১ বলে করেছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। এরপর পরের ৫০ রান করতে বল খেলেছেন মাত্র ১৬ বল।
আর লুইসের তোপে বিব্রতকর এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন তরুণ সাদ্দাম। বিপিএলের ইতিহাসে এখন তিনিই সবচেয়ে খরুচে বোলার। এদিন চার ওভারে রান দিয়েছেন ৫৭টি। চলতি আসরেই সিলেট সিক্সার্সের দুই পেসার আল-আমিন হোসেন ও মেহেদী হাসান রানা ৫৭ রানের খরচে রেকর্ডটা গড়েছিলেন। তবে সাদ্দামের সঙ্গী আরেক তরুণ শরিফুলও কম যাননি। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৫৩ রান।
অথচ হ্যামট্রিংয়ে টান লাগায় টানা ছয় ম্যাচে দর্শক হয়েই সময় কাটাতে হয়েছে লুইসকে। ফিরলেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। কারণ খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে এদিন ম্যাচ হারলেই শেষ চারের সমীকরণ কঠিন হয়ে যাবে দলটির। তবে লুইসের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ২৩৭ রানের বিশাল স্কোরই দাঁড় করিয়েছে কুমিল্লা। যা বিপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কদিন আগেই চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ২৩৯ রান করেছিল রংপুর রাইডার্স।
বিপিএলের প্রথম আসরেই ২টি সেঞ্চুরি করেন গেইল। সেবার বরিশাল বার্নাসের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। পরের আসরে মাত্র এক দিনের ঝটিকা সফরে ঢাকা গ্লডিয়েটসের হয়ে করেন তৃতীয় সেঞ্চুরি। আর গত আসরে রংপুর রাইডাসের হয়ে করেন আরও দুটি সেঞ্চুরি। সূত্র: ডেইলি স্টার
আপনার মতামত লিখুন :