শিমুল মাহমুদ: ভোট ডাকাতির নির্বাচনকে সুষ্ঠু নির্বাচনের তকমা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচনোত্তর সরকার নিজেকে যে নামেই অভিহিত করুক, সেটি অবৈধ সরকার।সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, এই সরকার রাতের আঁধারের ভোটের সরকার। অথচ আওয়ামী লীগ বলছে-তাদের প্রার্থীরা নাকি লাখ লাখ ভোটে বিজয়ী হয়েছে। তাছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশানারসহ অন্যান্য কমিশনারদের মনে কোন অনুশোচণা নেই। তাহলে অধিকারহারা ভোটার’রা প্রতিকার কার কাছ থেকে চাইবে।
রাষ্ট্র এক ভয়াবহ একদলীয় রুপ ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত বড় মহাভোট ডাকাতি ও মহাভোট জালিয়াতির নির্বাচন গোটা জাতির সামনে সংঘটিত হলো, অথচ নির্বাচন কমিশন জানালো যে, ‘নির্বাচনে কোন অনিয়ম হয়নি’। তাই আজ এই অন্যায়ের প্রতিকার চাওয়ার কোন জায়গা নেই।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, সরকার ও তাদের একনিষ্ঠ অনুগ্রহভাজন নির্বাচন কমিশন ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে যে ভূমিকা রেখেছে তাতে গোটা জাতি হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন প্রভূত সাংবিধানিক ক্ষমতার অধিকারী হলেও সেই ক্ষমতা প্রয়োগ না করে শুধু মনিবের কথা রাখতে গিয়ে গোটা নির্বাচনকেই ক্ষমতাসীনদের স্বার্থে বিক্রি করে দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের ছদ্দনাম নুরুল হুদা কমিশন। এই নির্বাচন কমিশনের জন্যই গণতন্ত্রের সংকট আরও গুরুতর রুপ ধারণ করলো। কারণ নির্বাচন হচ্ছে-গণতন্ত্রের প্রধান অনুশীলণ।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে মহাভোট ডাকাতিতে নিয়োজিত থাকায় তারা সমাজে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের বদলে এখন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যস্ত হয়ে পড়াতে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরমভাবে অবনতিশীল হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সরকার টালবাহানা করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, সরকার সকল সরকারী শক্তি দিয়ে বেগম জিয়াকে কারাগারে আটকিয়ে রাখছে। তার জামিন পেতে আইনী কোন বাধা নেই। তাকে আটকিয়ে রাখতে আইনের ফাঁক দিয়ে বেআইনী রাস্তায় নানা চক্রান্ত চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :