নাঈমা জাবীন : নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ট্রেইনি (সায়েন্টিফিক) মো. মোমিনুল ইসলাম বলেছেন, দেশের পারমাণবিক অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন দীর্ঘকাল ধরে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সহায়তায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের দুই শতাধিক বিজ্ঞানীকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সূত্র : সমকাল
তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে প্রতি বছর রাশিয়ায় বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রতি মাসে কয়েকটি দল কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে রাশিয়া যাচ্ছে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে। দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য সারাদেশ থেকে বাছাই করে তিন বছর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম এবং ছয় বছর মেয়াদি স্পেশালিস্ট প্রোগ্রামে রাশিয়ার ‘ন্যাশনাল রিসার্চ নিউক্লিয়ার ইউনিভার্সিটি’তে বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পড়াশোনা শেষ করে তারা দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্জিত জ্ঞান ও মেধা কাজে লাগাবেন। একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় ভারতও বাংলাদেশকে পরামর্শক সেবা প্রদান করার পাশাপাশি মানবসম্পদ প্রশিক্ষণে সহযোগিতা প্রদান করবে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হওয়ার পরের কয়েক বছর প্রকল্পটি রক্ষণাবেক্ষণে রাশিয়া সহযোগিতা করবে। কিন্তু সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরাই নিজ দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করবেন এবং রিঅ্যাক্টর ডিজাইন করতে সক্ষম হবেন। দেশের বিদ্যুৎ ও শিল্প খাত, বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়ন এবং পরিবেশ রক্ষায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দূরদর্শী পদক্ষেপ হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নেবে।
আপনার মতামত লিখুন :