এ সময়ের দেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট জহির রায়হান নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন দুই বছর আগে যুব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে নাইরোবিতে ৪০০ মিটার দৌড়ের সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়েছিলেন বিকেএসপির এই অ্যাথলেট।
এবার প্রিয় ইভেন্টে ঘরের ট্র্যাক মাতালেন জহির। আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ৪২ তম জাতীয় অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে তিনি ভেঙেছেন মিলজার হোসেনের ৩২ বছরের রেকর্ড।
১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমসে ৪৭.৫৫ সেকেন্ডে ৪০০ মিটার দৌড় শেষ করেছিলেন মিলজার হোসেন। তারপর গত ৩২ বছর এর চেয়ে ভালো টাইমিং করতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো অ্যাথলেট। মিলজার হোসেনের চোখের সামনেই তার তিন দশকের বেশি সময়ের রেকর্ড গুড়িয়ে দিলেন এই প্রজন্মের প্রতিভাবান অ্যাথলেট জহির রায়হান। তিনি ৪৬.৮৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন রেকর্ডসহ জিতেছেন ৪০০ মিটার দৌড়ের স্বর্ণ।
জহিরের দৌড় শেষের পর পরই তাকে অভিনন্দন জানাতে মাঠে ছুটে এসেছিলেন মিলজার হোসেন। জহিরকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘কারো রেকর্ড ভেঙে গেলে কষ্ট পাওয়া স্বাভাবিক। যতটুকু কষ্ট পেয়েছি তার চেয়ে অনেক খুশি হয়েছি। আশা করছি জহির আরো ভালো করবে। এ টাইমিং করতে পারলে জহিরের এশিয়ান গেমসে ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এমনকি পদকও পেতে পারে। সে দেশের বড় গর্ব। যে আমাদের দেশের সম্মান বৃদ্ধি করতে পারবে, তাকে আরো উৎসাহিত করা উচিত।
চোখের সামনে নিজের রেকর্ড ভাঙার দৃশ্য থেকে চোখে পানি এসেছিল উল্লেখ করে মিলজার হোসেন বলেছেন, ‘আমার এতদিনের রেকর্ড আমার সামনেই ভাঙলো, এটা দেখে খুবই আনন্দ লাগছিল। ওর দৌড় দেখে আমার চোখ দিয়ে পানি এসে গিয়েছিল। কারণ, মানুষ কিন্তু আনন্দেও কাঁদে।
গত বছর জুলাইয়ে ইনজুরি থেকে ফিরে সামার মিটে অংশ নিয়ে স্বর্ণ জিতেছিলেন ৪৮.১০ সেকেন্ড সময় নিয়ে। এবার ১.২৪ সেকেন্ড সময় কমিয়ে তিনি গড়লেন নতুন রেকর্ড।
‘আমি অনেক দিন ইনজুরিতে ছিলাম। গত সামারে ফিরে রেকর্ড করার কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু হয়নি। এবার পারলাম অনেক দিনের পুরোনো রেকর্ড ভাঙতে। খুব ভালো লাগছে। আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। আমার কোচও অনেক পরিশ্রম করেন।
এখন আমরা লক্ষ্য সামনে এসএ গেমসে ভালো একটা টাইমিং করে যাতে দেশের জন্য সুনাম অর্জন করতে পারি’-রেকর্ড গড়ার পর জহির রায়হান।
আপনার মতামত লিখুন :