জিয়ারুল হক : বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেট সক্রিয় থাকলেও সচল হচ্ছে না বন্ড মার্কেট। দেশে বন্ড মার্কেট নেই বললেই চলে কোম্পানিগুলোর মূলধন সংগ্রহের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের ওপর অতি নির্ভরতাই এ অবস্থার জন্য দায়ী । বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক শাহজাহান মিনা। সূত্র : ডিবিসি নিউজ।
বন্ড হচ্ছে এক ধরনের ঋণচুক্তিপত্র। যার মাধ্যমে কোনো বড় কোম্পানি অন্য পক্ষের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। বড় প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য অনেক দেশের সরকার বন্ড ছেড়ে থাকে। সাধারণ শেয়ারের চাইতে বন্ডে বিনিয়োগে ঝুঁকি কম, এবং এখানে নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পাওয়া যায়। তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বন্ডে বিনিয়োগ করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে।
অর্থনীতিবিদ শাহজাহান মিনা বলেন, কোম্পানিগুলো ব্যাংক ঋণের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়ার কারণে বন্ড মার্কেট গতি পাচ্ছেনা। তিনি বলেন কর্তৃপক্ষ যদি কোম্পানিগুলোকে অনুমোদনের ক্ষেত্রে, মূলধনের ৭৫ শতাংশ ইকুয়িটি দিয়ে এবং বাকি ২৫ শতাংশ বন্ড দিয়ে করার ব্যবস্থা করতো তাহলে বন্ড মার্কেট গতিশীল হতো। এদিকে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, বন্ড মার্কেট সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দিলে মার্কেটে প্রচুর বিনিয়োগ আসবে।
এ ব্যাপারে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি, মোশতাক সাদেক বলেন, পুঁজিবাজারের বিকাশের স্বার্থে বন্ড মার্কেটের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করা দরকার, এখানে ট্রেড হয় ব্যাংক হতে ব্যাংক, ব্যাংক হতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে। বন্ড যদি ষ্টক মার্কেটে ছেড়ে দেয়া হতো তাহলে বন্ড মার্কেট অনেক সমৃদ্ধ হতো। তার দাবি বন্ড মার্কেট না দাঁড়ালে ক্যাপিটাল মার্কেট বড় হবে না।
ডিএসই’র সাবেক সহসভাপতি আহমেদ রশীদ লালী বলেন, বন্ডকে ফেমাস করতে হলে, জনপ্রিয় করতে হলে ছোট আকারে হলেও ষ্টক মার্কেটে আনতে হবে। আমরা চাই বাজারে নতুন প্রডাক্ট আসুক, তবে অবশ্যই পাঁচ হাজার টাকার বেশি ইউনিট হওয়া যাবে না। বিশ্লেষকদের দাবি সাধারণ জনগণকে বন্ড কেনার সুযোগ দিলে দেশের পুঁজিবাজার স্বরূপে ফিরবে। সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে পুঁজিবাজারের প্রতি। তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হবে সেই সঙ্গে বিেিয়াগ বৃদ্ধি পাবে।
আপনার মতামত লিখুন :