শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৯:৫০ সকাল
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৯:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচনকে অবহেলা করা যাবে না

মাওলানা সাইফুল ইসলাম : আমাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে দাঁড়িয়েছে। সেটা হচ্ছে নির্বাচন। ইসলামে নির্বাচন বা ভোটের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। একজনকে ভোট প্রদান করার আগে আমাদের অবশ্যই কয়েকটি বিষয় জানতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের এলাকায় কয়েকজন প্রার্থী আছেন। আমরা আসলে কোন প্রার্থীকে ভোট দেব?

একজন সৎ ও দ্বীনদার প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করব। কিন্তু ধরুন, নিজেদের পছন্দসই কোনো প্রার্থী নেই, এমনকি অপর কোনো সৎ ও যোগ্য প্রার্থীও নেই; কেবল এমন প্রার্থী রয়েছেন যারা কল্যাণের তুলনায় অকল্যাণই অধিক করবেন বলে প্রবল ধারণা হচ্ছে, তা হলে সেক্ষেত্রে শরিয়তের নীতি হচ্ছে, যে প্রার্থী তুলনামূলক কম অকল্যাণ করবেন বলে ধারণা হবে, তাকে ভোট দেওয়া জরুরি বলে সাব্যস্ত হবে। তবু ‘কাউকে ভোট দেব না’ বলা যাবে না। তার কারণ, যিনি বা যে কয়জন ‘কাউকে ভোট দেব না’ বলে বিরত থাকলেন এবং ওই কয়েকটি ভোটের ব্যবধানে কম অকল্যাণকারী প্রার্থী পরাজিত হয়ে, অধিক অকল্যাণকারী প্রার্থী বিজয়ী হয়ে জনগণের ওপর অধিক নির্যাতন-নিপীড়ন চালাবেন। সেই অধিক অকল্যাণ ও নির্যাতনের দায়-দায়িত্ব ও সমপরিমাণ পাপ যারা ভোট দেয়নি, তাদের আমলনামায়ও যোগ হবে। কেননা তাদের ভোট না দেওয়ার কারণেই এই অসৎ জনপ্রতিনিধি বা মেম্বার/ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।

একটি হাদিসে এসেছে, হজরত রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি কোনো কল্যাণ বা কল্যাণকর বিষয়ে কাউকে পথ দেখালো, সহযোগিতা করল; সে ওই ভালো কাজ সম্পাদনকারী বা কারীদের অনুরূপ সমপরিমাণ সওয়াব পেতে থাকবে।’ (সহিহ মুসলিম)

আরেকটি হাদিসে এসেছে, হজরত নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন- ইসলাম গ্রহণের পর (বা ইসলামের মধ্যে) কেউ যদি ভালো কোনো কাজ করে (ভালো কাজের পথ দেখায়, নিয়ম চালু করে) সে তার নিজ আমলের সওয়াব প্রাপ্তির পাশাপাশি, পরবর্তীকালে যারা সেই ভালো কাজ করতে থাকবে তাদের সবার অনুরূপ সমপরিমাণ সওয়াবও পেতে থাকবে; অথচ পরবর্তীদের কারো সওয়াবও কম করা হবে না। একইভাবে যে ব্যক্তি ইসলামে প্রবেশ করার পর কোনো মন্দ কাজের গোড়াপত্তন/সূচনা করল, তার পাপ তাকেই বহন করার পাশাপাশি, পরবর্তীকালে যারা সেই মন্দ কাজে জড়াবে তাদের সবার পাপের সমপরিমাণ পাপও তার আমলনামায় যোগ হবে। অথচ পরবর্তীদের নিজেদের কৃত পাপেও কোনো ঘাটতি হবে না। (প্রাগুক্ত) আমাদের সামনে নির্বাচন। চারদিকে নির্বাচন ও ভোটের হাওয়া বইছে। আমাদের সবারই ভোট দেওয়ার ক্ষমতা আছে। এই ভোট দেওয়ার আগে অবশ্যই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, আমরা কাদের ভোট দিচ্ছি? আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে সঠিক ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়