ফাহিম বিজয় : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এবারের নির্বাচন সম্পর্কে বলেছেন, আমি মনে করি না যে, এবারের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক কথাই বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলা হচ্ছে। এ নির্বাচন জাতীয় জীবনে একটি বিরাট বিপর্যয় নিয়ে আসবে, অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যাবে আমার কাছে এমনটি মনে হয় না। দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়েছে, আমি মনে করি এটি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বজায় থাকবে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমাদের দেশে তো সরকার পরিবর্তন হয় না। যখনই নির্বাচন হয় তখন নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রটিই বদলে যায়। এটিই হয়তো আশঙ্কা। তবে আমার মনে হয় না এমন কোনো কিছু ঘটবে। যদি মহাজোট বা আওয়ামী লীগের বাইরে কেউ সরকার গঠন করে, বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত, তাহলে আমাদের রাষ্ট্রের যে বৈশিষ্ট্য রয়েছে এটি বিঘিœত হবে। একটি উদার গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ যে সমাজ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমাজ বাধাপ্রাপ্ত হবে।
তিনি বলেন, যদি বিএনপি-জামায়াত জয়লাভ করে তাহলে দেশটিকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের যে চিন্তা সেদিকে নিয়ে যাবার আশঙ্কা আছে। যদিও তাদের জয়লাভ করার কোনো বাস্তব সম্ভাবনা আমি দেখছি না। একটি ভয় দেখানো হয় যে, এবারের নির্বাচন যদি প্রথম শ্রেণির না হয়, অংশগ্রহণমূলক না হয় তাহলে দেশে বিপর্যয় নেমে আসবে। আমার কাছে এটি মনে হয় না। ২০১৪ সালের নির্বাচন কম অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে, এটি বিএনপির কারণেই হয়েছে। কম ভোট দেয়ার কারণে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে কোনো সংকটের সম্মুখীন হতে হয়নি গত পাঁচ বছরে।
এক প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, কম অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদসরা কমনওয়েলথ অ্যাসোসিয়েশন এবং ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারা হলেন, সাবের হোসেন চৌধুরী এবং শিরীন শারমিন চৌধুরী। নির্বাচন যদি আন্তর্জাতিক মানের না হয় বা অধিক অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ না হয় তাহলে দেশে অরাজক পরিস্থিতির তৈরি হবে বা বিরাট একটি বিপর্যয় হবে বলে আমি মনে করি না। হ্যা, নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ এবং নিরপেক্ষ হয় তাহলে আমাদের দেশের সুনাম বাড়বে। বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :