শিরোনাম
◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:৩৭ সকাল
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কারণে নারীরা রাজনীতির মাঠে নামতে পারে না : রাশেদা রওনক

খায়রুল আলম : গত দশ বছরে পাঁচটি মনোনয়ন বেশি পেয়েছে নারী। নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। বিভিন্ন খাতে নারীরা তাদের যোগ্যতা দেখিয়েছে। প্রশাসন থেকে প্রতিটি জায়গায় নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে।

এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপের সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই যেখানে কোনো নারীকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন কাজ করার জন্য, তাদের সবাই সততা, নিষ্ঠা ও যোগ্যতার সাথে কাজ করেছেন। কিন্তু ভোট পাওয়া বিষিয়টি তো আর প্রধানমন্ত্রীর হাতে নেই। ভোট ব্যাংকটি সম্পূর্ণ জনসাধারণের হাতে। জনসাধারণের অর্ধেক যেহেতু পুরুষ, সাধারণত রাজনীতির মাঠ দখল করে পুরুষেরা। রাজনীতির মাঠে তারা নারীদের জায়গা দিতে চায় না। ফলে নারীও রাজনীতির মাঠে জায়গা করে নিতে পারে না এ পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার কারণে। যদি কোনো নারী সংসদ নির্বাচন করতে যায়, তখন প্রশ্ন ওঠে আর্থিকভাবে তিনি শক্তিশালী কি না? কারণ বাংলাদেশের রাজনীতি এখন বাণিজ্য হয়ে গেছে। যার যতো টাকা বেশি থাকবে, সে রাজনৈতিকভাবে ততোবেশি সফল হবেন। একজন নারী পৈত্রিকসূত্রে ভাইয়ে অর্ধেক সম্পদ পাচ্ছে আর স্বামীর সম্পদের তো কোনো অধিকারই থাকে না। তাহলে সে নারী কীভাবে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাশীল হয়ে রাজনীতি করবে? একটি বিষয় আমরা সব সময় দেখি, কোনো নারী প্রার্থী নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিলেই প্রথম থেকে শুরু হয় তার চারিত্রিক সম্পর্কে কথা বলা। বিভিন্ন কারণ এগুলো বলতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ খুবই পছন্দ করে।  এ প্রন্থা অবলম্ব করে একজন নারী প্রার্থীকে খুব সহজে রাজনৈতিক মাঠ থেকে অবদমন করা সম্ভব হয়। যেটি একজন পুরুষ প্রার্থীকে করা যায় না। আমাদের সংসদ সদস্য বেশিরভাগেই পুরুষ। তার সহকর্মীরাও পুরুষ। ফলে নতুন করে একজন নারীকে প্রার্থিতা দিতে গেলে অনেক জটিলতা থাকে। পুরুষতান্ত্রিক রাজনৈতিক মাঠে এখনো সে পরিবেশ তৈরি হয়নি যেখানে নারী প্রার্থী ভালোভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে বা নির্বাচন করতে পারবে। তাই দীর্ঘমেয়াদি কাজের মাধ্যমে নারীকে রাজনৈতিক মাঠে ও আর্থিকভাবে জায়গা করে নিতে হবে। এবারের নির্বাচনে সব মিলিয়ে হয়তো ত্রিশজন নারী প্রার্থী দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে যেদিন তিনশ আসনে দেড়শতাধিক নারী প্রার্থী দেয়া হবে সেদিন আমরা বুঝবো নারী-পরুষের বৈষম্য কমেছে। এখন এ কথাটি শুনতে হয়তো অবাস্তব মনে হচ্ছে, কিন্তু একদিন ঠিকই এমন হবে। কারণ আমরা এখন শিক্ষা খাতে দেখছি মেয়ে শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট ও শিক্ষকতার দিকে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়