রবিউল আলম : রাজনৈতিক সংস্কৃতির নাম হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনের সংস্কৃতির নাম কীÑ মারামারি, পোস্টার ছিড়াছিঁড়ি, হামলা, ক্যাম্প ভাঙা, দৌড়াদৌড়ি? নির্বাচনী উত্তেজনা না থাকলে নির্বাচনের আনন্দ থাকে না বলে শুনেছি। এবারের নির্বাচনটি কিছুটা ব্যতিক্রম ও নিরামিষ মনে হচ্ছে। কিন্তু জনসচেতনতা, মানবতাবোধ, দেশের উন্নয়নের প্রতি জনসমর্থন সৃষ্টি হয়েছে। নৌকা মার্কার সমর্থনে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে। নৌকার মিছিল হলে হাজার হাজার মানুষ হাজির হয়ে যায়। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদেরকে রাস্তায় পাওয়া যায় না বলেই চলে।
একদিকে ২০১৪ সালের হামলা-মামলার আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন অনেক সরকারি কর্মকর্তা, যারা বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক তারা রয়েছেন আত্মগোপনে, যে কারণে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কর্মী-সমর্থকেরা নির্বাচনী মাঠে নেই। ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য নেই, তাদের জনবলও নেই। পোস্টার কে লাগায়, কে নির্বাচনের মিছিল করে, কে জানে। আমি ঢাকা-১৩ আসনের ৩৪- নং ওয়ার্ডে বিএনপির কাউকে এখনো পর্যন্ত পোস্টার লাগাতে দেখিনি। দেখিনি মিছিল করতেও। কিছু বাড়িঘরে স্টিকার লাগিয়েছে, কেউ ছিঁড়েনি।
পোস্টার না লাগিয়েই বিএনপি-জামায়াত বলছে, আমাদের পোস্টার ছিঁড়লে কেন, লাগিয়ে দাও! বলছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সমান হয় নেই, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ঠিক করে দাও। হয়তো ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টও দিতে পারবে না বিএনপি-জামায়াতা-ঐক্যফ্রন্ট। হয়তো তারা এটাও দাবি করতে পারেÑ আমাদের পোলিং এজেন্ট দিয়ে দাও, তা না হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে না!
লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :