সাত্তার আজাদ, সিলেট: সারা দিন জুতা পলিস করে নৃপেশ ঋষির দিন শেষে আয় দুই থেকে আড়াই’শ টাকা। আয় যেমন কম তেমনি নির্বাচন নিয়ে খুব বড় ধরণের আশা নেই তার। নৃপেশ বলেন, নির্বাচন নিয়ে খুব ভাবিনা। এই বয়সে তিন তিনটি নির্বাচন দেখলাম, অনেকের ভাগ্যবদল হল আমার তো আর ভাগ্য বদলালো না। যে বিজয়ী হোক আমার আয় রোজগার না কমলেই হল।
সিলেট নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলী বাদশা মিয়ার বস্তিতে থাকে সে। তার কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে একই বস্তির আনফর আলী বলেন, মন্ত্রী এমপি’র কাছে টাকা-পঁয়সা চাইনা। শান্তিতে থাকা, আর রোজকার আয় যা হয় তা পেলেই হল।
নির্বাচনে কাকে ভোট দেবেন জানতে চাওয়া হয় রিকশা চালক দবির আলীর কাছে। কুমিল্লা থেকে আসা দবির ১৫ বছর ধরে সিলেটে বসবাস করছে। সিলেট-১ আসনের দুইবার ভোট দিয়েছে সে। তার ভোট নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাজারে। দিনভর রিকশা চালিয়ে পাঁচ থেকে সাত’শ টাকা আয় তার। দবির জানায়, যেভাবে চলছে সেভাবে চললেই খুশি সে। নির্বাচনে অশান্তি চায়না দবির।
নির্বাচনের আর মাত্র একসপ্তাহ বাকি। প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় মুখর নগরী। এ অবস্থায় ভোট ভাবনার কথা জানালো কাঠ মিস্ত্রি ফারুক। তার বাড়ি সিলেটের কানাইঘাটে। সে থাকে নগরীর লামাপাড়া বস্তিতে। নগরীর ভোটার সে। এবার প্রথম ভোট দিবে ফারুক। কেমন প্রার্থীকে জীবনের প্রথম ভোট দেবে জানতে চাইলে তার সাদামাটা জবাব, আমি ভোট দেব প্রার্থী দেখে। প্রতীক দেখে নয়। খেটে খাওয়া মানুষের কল্যাণে কাজ করবে যে তাকেই ভোট দেব।
সিলেট নগরীর একাধিক নিম্ন আয়ের মানুষের সাথে কথা হয়। তাদের দাবি একটাই। সন্ত্রাসমুক্তভাবে জীবনযাপন করা। আয় রোজগার যাই হোক অশান্তি আশা করে না তারা।
আপনার মতামত লিখুন :