শাহানুজ্জামান টিটু : রাজধানী ঢাকায় ২৭ ডিসেম্বর জনসভার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এই জনসভা থেকে শেষবারের মত সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাবে। ঢাকার এই সমাবেশকে নির্বাচনের আগে সবচেয়ে বড় শোডাউন করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
অসমতল নির্বাচনী মাঠ সমতলের লক্ষে আজ থেকে সারাদেশে নামছে সেনাবাহিনী। সরকারি বিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও জোট নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী নামানোর জোরালো দাবি জানিয়েছে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে।
সাধারণ মানুষেরও আস্থা সেনাবাহিনীর উপরে। তারা মনে করেন, সেনাবাহিনী জাতীয় স্বার্থে সকল বির্তকের উর্ধ্বে। জাতীর শেষ ভরসা স্থল। নির্বাচনকালীন সময়ে তারা মাঠে থাকলে দেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা থাকে। অতীতেও তেমন হয়েছে।
এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি আসন্ন নির্বাচনে ভোট বিপ্লব ঘটাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বিএনপি ও ফ্রন্ট নেতারা মনে করেন, সেনাবাহিনী যখনই মোতায়েন হবে তখন থেকেই তারা নির্বাচনী মাঠে প্রচার প্রচারণায় আরো বেশী সক্রিয় হবেন তারা। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে এই পাঁচ দিন সরকার বিরোধী জোট ঐক্যফ্রন্ট, বাম ও ইসলামী দলগুলোর বিশেষ করে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।
এসব দল ও জোট ভোটের আগের দিন রাত থেকে ভোট পরবর্তী ফলাফল ঘোষণার সময় পর্যন্ত কেন্দ্র এলাকায় ব্যাপক লোক সমাগম করার পরিকল্পনা নিয়েছে। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও ভোট কেন্দ্রগুলো তাদের নেতাকর্মীদের দখলে রাখার নিদের্শনা দিয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা বাইরে বিভিন্ন জেলায় নির্বাচনী জনসভা করছেন। এসব জনসভায় মানুষের ব্যাপক উপস্থিতিকে ধানের শীষের পক্ষের জোয়ার হিসেবে দেখছেন। তিনি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ভোটের আগের দিন রাত থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার কথা বলেছেন। একই আহবান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রের মেরামতের জন্য পরিবর্তনের বিকল্প নেই। ৩০ ডিসেম্বর সেই সুযোগ। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগাতে ওই দিন সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে। ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত ভোট কেন্দ্র ছাড়া চলবে না।
আপনার মতামত লিখুন :