মো. ইউসুফ আলী বাচ্চু: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে। এই মুহুর্তে কেন্দ্রের কোনো পরামর্শ বা সহায়তা কোনটাই পাচ্ছেন না প্রার্থীরা। অথচ এই সময়ে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে কেন্দ্রের পরামর্শ খুবই জরুরি ছিল বলে জানিয়েছেন অনেক প্রার্থী।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙা এই প্রসঙ্গে বলেন, আমরা তাদের প্রার্থী হতেও বলিনি। নির্বাচনও করতে বলিনি। তারা নিজেরাই আগ্রহী হয়ে প্রার্থী হয়েছেন। সে কারণে তাদের জন্য কোনো পরামর্শও দেয়া হয়নি।
ভোটের মাত্র আর ৭দিন বাকী। কিন্তু প্রার্থীরা পায়নি কোনো দিক নির্দেশনা। উন্মুক্ত আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকায় প্রার্থীরা অনেকেই নানা রকম বাধার শিকার হচ্ছেন।
দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙা প্রত্যেকেই নিজ আসনের নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে নিস্ক্রীয় জাতীয় পার্টি। আর এ কারণে হতাশা দেখা দিয়েছে নেতা-কর্মীদের মাঝে। অন্যদিকে এরশাদের বিশেষ সহকারী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারও রয়েছেন ঢাকার বাইরে।
এ বিষয় রাজশাহী-৫ আসনের প্রার্থী আবুল হোসেন বলেন, আমি এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয়ভাবে গাইডলাইন বা পরামর্শ পাইনি। আমার এলাকায় নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমাদের পোস্টার লিফলেট ছিঁড়ে ফেলছে। ক্যাম্পেইন করতে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে কেন্দ্রের সহায়তা বিশেষ প্রয়োজন।
এরশাদ কবে ফিরছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তার ভাই জিএম কাদের বলেন,কবে শুনেছি ২২ ডিসেম্বরের পরে দেশে ফিরতে পারেন। তবে সঠিক তারিখ বলতে পারছি না।
পার্টির সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে একাধিক দফায় ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আপনার মতামত লিখুন :