শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৯:২৫ সকাল
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৯:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নৌকা-ধানের শীষে সরগরম মাঠ

যুগান্তর : বিজয়ের মাসে আরও একটি জয় চায় মহাজোট। বিজয়ের মাসে আরও একটি বিজয় ছিনিয়ে আনতে চান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিক দলগুলোর প্রার্থীরা। তারা শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে মহাজোটকে জয়ী করার আহবান জানিয়েছেন।

বিভিন্ন নির্বাচনী সভায় মহাজোট প্রার্থীরা বলেছেন, তারা নির্বাচিত হলে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে নানা পদক্ষেপ নেবেন। পাশাপাশি বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের কঠোর সমালোচনা করে তারা বলেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছেন।

রিকশায় চড়ে প্রচারণায় মেনন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রিকশায় চড়ে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালান ঢাকা-৮ আসনে মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে তিনি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় যান।

সকাল ১০টায় ফুলার রোডে অস্থায়ী নির্বাচন ক্যাম্প থেকে মেননের প্রচারণা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের কাছে ভোট চাইতে ফুলার রোডের আবাসিক এলাকা ও টাওয়ার ভবনে যান তিনি। সেখানে শিক্ষকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর রিকশায় চড়ে গিয়াস উদ্দিন আবাসিক এলাকায় যান মেনন। রিকশায় তার সঙ্গী হন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক এই ভিপির সঙ্গে দেখা করতে আসেন অনেকেই। তারা মেননকে স্বাগত জানান।

সেখান থেকে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসকে রিকশায় নিয়ে দক্ষিণ নীলক্ষেত এলাকায় প্রচারণায় যান রাশেদ খান মেনন। তিনি হাত নেড়ে উপস্থিত জনতাকে শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি দেশের অসাম্প্রদায়িক ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট চান। তিনি বিএনপি-জামায়াতের ভয়ঙ্কর দিনগুলোতে ফিরে না যেতে তরুণ প্রজন্ম ও তাদের প্রথম ভোট নৌকায় দেয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি নির্বাচিত হলে এ এলাকায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাঈদ খোকনের নেতৃত্বে বিশাল নির্বাচনী মিছিল করেছে ঢাকা-৮ আসনের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিকালে মিতিঝিল টিএন্ডটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে মিছিলপূর্বক নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়ন করে আমরা প্রমাণ করেছি নৌকায় ভোট দিলে দেশের ও জনগণের উন্নয়ন হয়। তাই সবাই ৩০ তারিখে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয় মাসের আরেকটি বিজয় উদযাপন করবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি শাহে আলম মুরাদ।

এ সময় ঢাকা-৮ এর প্রার্থী রাশেদ খান মেনন বলেন, নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে বিএনপির পরাজয়ও ততটাই নিশ্চিত হচ্ছে। এটা বুঝতে পেরেই বিএনপি তাদের প্রচার ক্রমেই কমিয়ে দিচ্ছে। অথচ দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে ইলেকশন কমিশনের ঘাড়ে। বিএনপি দেশকে যেভাবে লুটেপুটে খেয়েছে তার খেসারত দিয়ে তাদের নিরঙ্কুশ পরাজয় মেনে নিতে হবে, নয়তো নির্বাচন থেকে তাদের পালাতে হবে।

সংবিধান লঙ্ঘন করছেন ড. কামাল : খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ড. কামাল হোসেন একজন সংবিধানপ্রণেতা। কিন্তু তিনি প্রতিদিন তার বক্তব্যে সংবিধান লঙ্ঘন করছেন। উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চার করছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।

মন্ত্রী বলেন, তারা আইএসআইয়ের এজেন্ট, ’৭১-র ঘাতকদের দোসর। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করা হবে। ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। এ মাসে জনগণ উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে রায় দেবে। তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন বলেছেন তারা নির্বাচনের আগের দিন ভোট কেন্দ্র পাহারা দেবে। কিন্তু আমরা ৩ দিন আগে থেকে ভোট কেন্দ্র পাহারা দেব। কাউকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাতে দেয়া হবে না। যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটানোর চেষ্টা করবে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হবে।

এদিকে ঢাকা-৫ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিবুর রহমান মোল্লা বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে নৌকা মার্কায় শতকরা ৮০ ভাগ ভোট যেন পড়ে সে জন্য যে কোনো ধরনের কৌশল অবলম্বন করতে হয় করবেন। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ না করে সহযোগিতা করতে বলেন। এ আসনে ভবিষ্যতে যাতে অন্য দলের প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়াতে সাহস না পায় এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করারও আহ্বান জানান তিনি। দনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে শুক্রবার বিকালে রাজধানীর কদমতলীর পলাশপুর ৪নং সড়কে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আবদুস সালাম বাবু, জিএম কামাল হোসেন, আবদুল কুদ্দুছ, দেলোয়ার হোসেন পাঠান, মোশাররফ হোসেন, আহমেদুল করিম জয়, ওসমান গনি, আবুল কাশেম পাটোয়ারী, হাজী মোস্তাক আহমেদ, কাজী মুহাম্মদ বদরুল হুদা বিপু, আবদুর রহমান রতন, ঝর্ণা হোসেন, ফারুক খান, উজ্জল আহম্মেদ, ডা. এজেএম শাফিউল আলম শাহ, ডা. দিলরুবা আখতার, কামাল হোসেন, মোতালেব মেম্বার প্রমুখ।

ভয়ভীতি উপেক্ষা করে মাঠে ধানের শীষের প্রার্থীরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীতে ভোটারদের দ্বারে যাচ্ছেন ধানের শীষের প্রার্থীরা। প্রতীক পাওয়ার পর গত ১১ দিন প্রচারে তেমন সক্রিয় না দেখা গেলেও শনিবার মহানগরের চিত্র ছিল ভিন্ন। ১৫টি আসনেই ধানের শীষের প্রার্থী অথবা তাদের পক্ষে কর্মী-সমর্থকরা প্রচারে নেমেছেন। ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন তারা। বাসা বাড়ি ও ছোট-বড় দোকানগুলোতে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চান। দেন নানা প্রতিশ্রুতিও।

শনিবার সকালে মুরাদপুর হাইস্কুল রোড থেকে দিনের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন ঢাকা-৪ আসনের প্রার্থী সালাহ্উদ্দিন আহমেদ। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে মেডিকেল রোড, জুরাইন কমিশনার রোড, পূর্ব জুরাইন বউবাজার এলাকা, হাজী কে আলী সরদার রোড, পূর্ব জুরাইন ওয়াসা রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। লিফলেট বিতরণ করে এলাকার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ভোট চান বিএনপির এই প্রার্থী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই।

তারা প্রজাতন্ত্রের লোক। তাদের কাজ জনগণের নিরাপত্তা দেয়া। কিন্তু কিছুু পুলিশ যেভাবে আচরণ শুরু করেছে, নির্বিচারে গ্রেফতার করছে, তাতে অবাধ নির্বাচন কিছুতেই সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনও (ইসি) সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারছে না। ইসি ও প্রশাসন আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে। এ সময় নিজে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, সুষ্ঠু ভোট হলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার জামানত থাকবে না।
সকালে ডেমরার বাঁশেরপুল এলাকা থেকে প্রচার শুরু করেন ঢাকা-৫ আসনের প্রার্থী নবীউল্লাহ নবী। নেতাকর্মীদের নিয়ে লিফলেট বিতরণ, ভোটারদের কাছে ভোট ও দোয়া চান তিনি। এ সময় নবী সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে শতভাগ নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। দেশনেত্রী মুক্তি পাবেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন।

ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী আফরোজা আব্বাস তিলপাপাড়া, খিলগাঁও চৌরাস্তা, সিপাহীবাগ, গোড়ান নবাবী মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ন্যূনতম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঠে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তখন বোঝা যেত জনসমর্থনের পাল্লা কার ভারি। তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ৩০ ডিসেম্বর সব প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের ধানের শীষে ভোট দিতে হবে।

সন্ধ্যায় শাহজাহানপুরের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী মির্জা আব্বাস বলেন, আমার ও আমার সহধর্মিণী ঢাকা-৯ এর ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের নির্বাচনী কার্যক্রমকে ক’দিন ধরে একটি গ্রুপ ফলো করছে। আমরা যখনই প্রচারণার কাজে বেরুতে যাই তখনই বাড়ির চার দিকে অসংখ্য অপরিচিত মুখ। তাদের আচরণ, চাহনি সব কিছুই আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। এ সময় প্রার্থী আফরোজা আব্বাসও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস বলেন, আগে আমাদের নেতাকর্মীদের রাতে বাসায় প্রবেশের সময় কিংবা বের হওয়ার সময় আটক করা হতো। এখন দিনের বেলায় নেতাকর্মীরা বাসায় প্রবেশ বা বের হওয়ার সময় তাদের আটক করা হচ্ছে। আটক করে কোথায় নিচ্ছে আমরা জানি না। তিনি বলেন, বাড়ির চার পাশে সন্দেহজনক লোকদের পাহারা এত বেশি যে, অরাজনৈতিক ব্যক্তি কিংবা সাংবাদিকরা বাসায় প্রবেশ করলেও তাদের ওপর নজর রাখা হয়। আমি ও আমার আত্মীয়স্বজন এবং নেতাকর্মীরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। যে কোনো মুহূর্তে এই বাড়িটি বড় কোনো হামলার শিকার হতে পারে। মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আমাদের গণসংযোগে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের বিশেষ করে মহিলাদের ডেকে নিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। লেভেল প্লেয়িং তো দূরের কথা, এটা নির্বাচনের পরিস্থিতিই নয়।

খিলগাঁও তালতলা, মালিবাগ ও রামপুরা এলাকায় গণসংযোগ করেন ঢাকা-১১ আসনের প্রার্থী শামিম আরা বেগম। এ সময় তিনি ওই এলাকার বাসাবাড়ি ও ছোট-বড় দোকানগুলোতে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চান। নির্বাচিত হলে নারীর ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যেখানেই যাই, সেখানেই ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগণ ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ৩০ ডিসেম্বর সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হলে জনগণ তাকেই নির্বাচিত করবেন বলে আশাবাদী তিনি। শামিম আরা বলেন, যেহেতু আমি একজন নারী তাই নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করতে চাই। পাশাপাশি এলাকার রাস্তাঘাট ড্রেনেজ সংস্কারসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে আমার বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষা খাতে বিশেষ জোর দেয়ার কথাও বলেন তিনি। ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও ভোটারদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন ঢাকা-১৪ আসনের প্রার্থী সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক সাজু। পরে পর্যায়ক্রমে মিরপুর কো-অপারেটিভ মার্কেট, মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্স ও গাবতলী বাস টার্মিনাল এবং রূপনগর আবাসিক এলাকায় গণসংযোগ করে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চান তিনি।

কসাইবাড়ি মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করেন ঢাকা-১৮ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। পরে এয়ারপোর্ট মোড় ও আশপাশের এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগ করেন। এ সময় তার সঙ্গে স্থানীয় বিএনপি, জেএসডিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এবং বিভিন্ন স্তরের কর্মী-সমর্থক অংশ নেন। এ ছাড়া শনিবার দিনভর বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে জনসংযোগ করেন ঢাকা-৭ আসনের মোস্তফা মহসীন মন্টু ও ঢাকা-১৩ আসনের আবদুস সালামও।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়