জুয়েল খান : সাংবাদিক ও গবেষক ড. আফসান চৌধুরী বলেছেন, বিরোধী দল মনে করছে যদি মানুষ জানে সেনাবাহিনী মাঠে আছে, তাহলে লোকজন একটু ভয় পাবে। তবে সেনাবাহিনী আসার পরে যদি মাঠের পরিবেশ নিরাপদ না হয় , মানুষ সেনাবাহিনীকে ভয় না পায় তাহলে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হবে। ২১ ডিসেম্বর রাতে ডিবিসি নিউজের এক আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
ড. আফসান চৌধুরী বলেন, বিএনপির ওপরে যে পরিমাণ চাপ আছে সেই চাপ আওয়ামী লীগের ওপরে নেই। বিএনপির যে পরিমাণ ধরপাকড় হচ্ছে সেদিক থেকে বিএনিপ অনেকটাই চাপ সামলাচ্ছে। যে সময়ের মামলাই হোক না কেনো এটা বাড়তি চাপ বিএনপির জন্য। এই বৈতরণী পার করতে পারলে বিএনপি দল হিসেবে সফল। আর যে কোনো সফল দল বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ভালো।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনটা কিন্তু ভোটারনির্ভর নির্বাচন এটা, রাজনৈতিক দলনির্ভর নির্বাচন না। বড় বড় মিটিং করলাম আর জনগণ খুশি হয়ে ভোট দিয়ে দেবে এমনটা ভাবার সুযোগ নেই। ২০১৪ সালে বিএনপি একটা দুর্বল দল ছিলো, এখন বিএনপির যে কৌশল তা হচ্ছে, নাকে খত দিয়ে হলেও নির্বাচন করবে এং নির্বাচনের মাঠে থাকবে। এটা দেশের রাজনীতিতে একটা ইতিবাচক দিক।
আমার মনে হয় না কোনো নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এরচেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায়। ইসি প্রথমে কিছুটা ভালো অবস্থানে ছিলো আর নির্বাচন যতো ঘনিয়ে আসছে ইসির অবস্থান ততো দুর্বল হচ্ছে। আবার ইসির ভেতরে একজন আছেন, তিনি রীতিমতো ইসির কাজের সমালোচনা করছেন। আর একজন আছেন যিনি বলছেন আমরা খুব ভালো করছি। আসলে ইসির ওপরে ভেতরে-বাইরে নানা ধরনের চাপ থাকে, সেই চাপকে কাটিয়ে ওঠা কঠিন। তবে ভারতের ইসি কেমন কাজ করছে এই বিষয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবে না। কারণ ভারতে ইসির কাঠামো এতোটাই শক্ত, ভারতে ইসির এতো শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে যা বাংলাদেশ করতে পারেনি। ভারতের কাছ থেকে আমাদের এই বিষয়ে শিক্ষনীয় আছে, কীভাবে ইসির কাঠামো আরো শক্ত করা যায়।
তিনি জানান, আঞ্চলিকভাবে আমাদের অর্থনীতির কাঠামোকে শক্তিশালী করতে হবে। আর অর্তনৈতিক কাঠামোকে শক্তিশালী করতে পারলে আমাদের ওপরে অন্যদেশের প্রভাব কমবে। একটা সময় ছিলো শুধুমাত্র আমেরিকার প্রভাব ছিলো। এখন আমাদের দেশে দুইটা দেশের প্রভাব আছে-ভারত এবং চীন। বাংলাদেশের রাজনীতি প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এখনো হয়নি, তবে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরাপদ হোক এটাই সাধারণ ভোটারদের চাওয়া।
আপনার মতামত লিখুন :