শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০১:৪৫ রাত
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০১:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভোট দেবে কাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নাকি বিএনপি-জামায়াতকে!

সমীরণ রায় : একাদশ নির্বাচনী প্রচারণা চলছে জোরে সোরে। ইতোমেেধ্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। ইশতেহারে জনগণকে আশার আলো দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের প্রচারণা চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। আবার ক্ষমতাসীনরাও নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ঐক্যফন্টের প্রার্থীরা আচরণ বিধি লঙ্ঘণের অভিযোগ করেছে। তবে সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগের অভিযোগকে সমর্থন করেনি। সমর্থন করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, রাজধানীসহ সারাদেশে তাকালে দেখা যায়, আসলেই ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের প্রচারণা চোখে পড়ছে না।

তবে প্রশ্ন দেখা দিয়ে দিয়েছে অন্য জায়গায়। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, সত্যিই কি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারছেন না? নাকি তারা ইচ্ছে করেই জনগণের সমর্থন পেতে প্রচারণায় নামছে না। ইতোমধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশে ছোট খাটো সংঘর্ষ হয়েছে। এমনকি ক্ষমতাসীন দলটির দাবি সংঘর্ষে তাদের তিন কর্মী মারা গেছেন। যদিও বিএনপি এমন অভিযোগ করতে পারেনি। বিএনপি অভিযোগ করেছে, তাদের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুড় করেছে। নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। এমনকি বিচার বিভাগের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে ‘দমনমূলক পরিবেশ’ বিরাজ করছে বলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)’র এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি বলছে, এ ধরনের অবস্থা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে। সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করারও দাবি করেছে এইচআরডব্লিউ।

এদিকে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। যদি কোনো প্রার্থী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে দু’একজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে ইসি। তবে হাটে, মাঠে ঘাটে, বাসে উঠলে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন ধরণের কথা শোনা যায়। শোনা যায়, যে কোনো উপায়ে আবার আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসবে। আবার এমনও শোনা যায়, সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারলে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট জয়ী হবে। তবে তরুণরা জেগে উঠেছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ভোট দেবে মানুষ। আবার কেউ বলছেন, কেন তরুণরা ভোট দেবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে কেউ কেউ বলেছেন, শেখ হাসিনা তরুণদের প্রাধান্য দিয়েছেন বেশি। তাছাড়া জামায়াত ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে নেমেছে। জামায়াত ইসলামকে দুধ-কলা দিয়ে পুষছে বিএনপি। তাহলে বিএনপিকে কেন মানুষ ভোট দেবে? প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে মানুষ ভোট দেবে কাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে? নাকি বিএনপি-জামায়াতকে? উত্তরে উঠেছে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ভোট দেবে। সাম্প্রদায়িকতাকে যারা লালন-পালন করে ও সাধীনতা বিরোধীদের মানুষ ভোট দেবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়