রাশিদ রিয়াজ : তেলের দর বৃদ্ধিতে স্থানীয় এয়ারলাইন্সগুলোকে জেট ফুয়েল সংগ্রহে অতিরিক্ত খরচ গুণতে হচ্ছে। একই সঙ্গে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে বাড়ছে পরিচালন ব্যয়। গত বছরের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত সরকার জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধি করেছে ৬ বার। প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে তেলের দামে সমন্বয় করতেই এ মূল্য বৃদ্ধি করতে হয়েছে। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস
একই সঙ্গে বিমান অবতরণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকি ছাড়া অন্যান্য খরচ কোনো কমার সম্ভাবনা নেই এবং তা অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বেশি। তবে তেলের মূল্যই বিমান পরিচালন ব্যয়ের অর্ধেক। তেলের দাম ১ শতাংশ বাড়লে বিমানকে ৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত গুণতে হয়। পদ্মা অয়েল দেশে একচেটিয়া জেট ফুয়েল বা এধরনের তেলের ব্যবসা করায় এক্ষেত্রে কোনো প্রতিযোগিতামূলক কম দর পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশ বিমানের একটি সূত্র বলছে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় এয়ারলাইন্সটির খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে ২.৩০ বিলিয়ন টাকা অর্থাৎ ২’শ কোটি টাকারও বেশি। আর টাকার অবমূল্যায়নে আরো বাড়তি খরচ যোগ হয়েছে ১.৩৪ বিলিয়ন টাকা। বিমানের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিমানের সরাসরি খরচ ছিল ১৯.৯২ বিলিয়ন টাকা যা মোট খরচে দাঁড়িয়েছে ৪২.৮৯ বিলিয়ন টাকায়। অবশ্য গত বছর তেল, হ্যান্ডেলিং, ওভারফ্লাইং, ল্যান্ডিং, পার্কিং ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ শূণ্য দশমিক ২৫ শতাংশ কমায় বিমানের সাশ্রয় হয়েছে ৫ কোটি টাকা। বছরে বাংলাদেশ বিমানের জালানি প্রয়োজন হয় ১৪০ মিলিয়ন লিটার। এর মূল্য হিসেবে পদ্মা অয়েলকে পরিশোধ করতে হয় ১৩’শ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যথাক্রমে এ তেল ৮২ ও ৩৮ শতাংশ বেশি দরে বিমানকে কিনতে হয়।
আপনার মতামত লিখুন :