শিরোনাম
◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:০৭ দুপুর
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:০৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশ অন্ধকার হবে, নাকি আলোকিত হবে নির্ভর করছে সেনাবাহিনীর উপর : দুদু

শিমুল মাহমুদ : বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ধীরে ধীরে আমরা একটি অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগামী ২৪ তারিখের পর সেনাবাহিনী নামবে। এই ২৪ তারিখের পর দেশ অন্ধকার হবে, নাকি আলোকিত হবে; সেটির জন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে।

শনিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনের বিলস অডিটরিয়মে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিস আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবির।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই আমরা নিজেদের মতো করে অনেক চ্যালেঞ্জ করেছি, আবার সেগুলো অতিক্রমও করেছি। কিন্তু বর্তমানে এক অন্ধকার জায়গায় বাস করছি আমরা। অনেকেই বলছে ২৪ তারিখের পরে সেনাবাহিনী নামবে এই ২৪ তারিখের পরে দেশ অন্ধকার হবে নাকি আলোকিত হবে সেটির জন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। কারণ পুলিশ প্রশাসন তো এক পক্ষ নিযে ফেলেছে যার যতটুকু আছে ততটুকু করছে তারা। দেশে যতগুলো ভালো কাজ হয়েছে সব কাজের সঙ্গে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত ছিল।

সেমিনারে বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, ‘আমি যদি সেনাবাহিনীর সমর্থন করি তাহলে অনেকেই হয়তো বলবে আপনার দলের প্রধান সেনাবাহিনী ছিল। কিন্তু এটাও তো সত্য দেশে যতগুলো ভালো কাজ হয়েছে সব কাজের সঙ্গে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত ছিল। এটা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও স্বীকার করেছে ১/১১ এর পরে তিনি বলেছিলেন এটা আমাদের আন্দোলনের ফসল।

দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে মন্তব্য করে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘রাজনীতিটা ক্রমে শেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদের বয়স হচ্ছে একদিন চলেও যেতে হবে কিন্তু কতটুকু রেখে গেলাম কি দিয়ে গেলাম কি দেখে গেলাম এটাই মুখ্য বিষয়। তবে যে যাই বলুক স্বাধীনতার ঘোষণা তো জিয়াউর রহমানই দিয়েছিলেন। কান, চোখ আর চিন্তার বাইরে তো কিছু নেই।

১৯৭৫ সালের বাকশাল সরকারের ঘটনা উল্লেখ করে দুদু বলেন, ১৯৭৫ সালের ঘটনা খুবই নির্মম ঘটনা, এগুলোকে আমরা কখনও সমর্থন করি না। তবে ৭৫ এ দুটি ঘটনা ছিল তখন বাকশাল শাসকের পতন হয়েছিল কিন্তু আমরা প্রথমটা বলি দ্বিতীয় টা বলি না। দ্বিতীয় টা যদি আলোচনায় আসে তাহলে এদেশে যতই অন্ধকার আসুক আশার আলো থাকে। কারণ এই জাতির উৎসব হচ্ছে সংগ্রাম, আন্দোলনটা তারা উৎসব মনে করে।’

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড.হোসেন জিল্লুর রহমান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জে. (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, জি ৯ এর সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত, দৈনিক প্রথম আলোর কনটেন্ট আয়শা কবির।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়