শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৮:৫২ সকাল
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৮:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উস্কানিমূলক বক্তৃতা পরিহার করা উচিত

বিভুরঞ্জন সরকার : নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশে চলছে প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে নিজ নিজ মার্কার পক্ষে ভোট চাইছেন। নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইছেন প্রধানত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। ফলে অনেক কিছুই তাদের অনুকূলে। বিএনপি ক্ষমতার বাইরে, পরিবেশও তাদের প্রতিকূলে। তবে গণমাধ্যমের সহযোগিতা বিএনপি পাচ্ছে। গণমাধ্যমে তাদের সব খবরই আসছে। তারা কোথায় কোথায় বাধার সম্মুখীন হচ্ছে সে খবর সবিস্তারে গণমাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তারা কোথায় কোথায় নির্বিঘ্নে প্রচার কাজ চালাতে পারছে, সে খবর জানা যায় না। কারণ খারাপ খবরই খবর।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এক ধরনের শঙ্কা প্রচার করা হচ্ছে। জনমনে তার প্রভাবও পড়ছে। আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছেন যারা চোখে দেখার চেয়ে কানে শোনাটা বেশি বিশ্বাস করেন। নিজের এলাকায় বিএনপি বড় মিছিল করছে, কেউ বাধা দিচ্ছে না – এটা দেখেও ‘অমুক' জায়গায় বাধা দেয়ার কথাটাই বেশি করে মনে ধরছে ।

বিএনপির পক্ষে দেশের কোথাও গণজোয়ার কিংবা তার কোনো লক্ষণ দেখা না গেলেও বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ৩০ ডিসেম্বর দেশে বিপ্লব ঘটবে বলে প্রচার করছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন। ‘ভোটের আগের রাত থেকে কেন্দ্র পাহারা দিন। ভয় পাবেন না। ভয়ের কিছু নেই। ন্যায়ের স্বার্থে ধানের শীষের জন্য ৩০ ডিসেম্বর ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নিন। মানুষ একবারই মরে, বীরের মৃত্যু নেই’।

বিএনপি মহাসচিবের এই আহ্বান কি মানুষকে ভোটকেন্দ্রে যেতে উদ্বুদ্ধ করবে, নাকি মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত করবে? ভোটের আগের রাতে ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার কথা বলে কি সংঘাত-সংঘর্ষের উস্কানি দেয়া হচ্ছে না? বিএনপি সমর্থকরা যদি ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে যায়, তাহলে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা কি সারারাত ঘুমিয়ে কাটাবে? আওয়ামী লীগ যদি পাল্টা পাহারা বসায় তাহলে তো সংঘাত অনিবার্য। আওয়ামী লীগকে তো প্রশাসনও সহযোগিতা করবে। কারণ দলীয় সরকারের অধীন প্রশাসন ‘নিরপেক্ষ' ভূমিকা পালন করবে না, এটা তো বিএনপিই এতোদিন থেকে বলে আসছে। বিএনপি মহাসচিব কি এটা কথার কথা বলেছেন, না দলের নেতাকর্মীসমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করার জন্য বলেছেন?

যদি মনোবল চাঙ্গা করার জন্য বলে থাকেন, তাহলে তিনি ভুল বার্তা দিয়েছেন। নির্বাচন কেন্দ্র তো যুদ্ধ ক্ষেত্র নয়। তিনি যেভাবে বীরের মতো একবার মরতে বলেছেন তাতে মনে হচ্ছে তিনি সবাইকে যুদ্ধযাত্রায় পাঠাচ্ছেন। এখন আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন কি করবে? বিএনপিকে এমন দামামা বাজাতে দেখে তারাও যদি রণসাজে সজ্জিত হয়, তাহলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে?

এবারের নির্বাচনই দেশের শেষ নির্বাচন নয়। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনী ফলাফল যাই হোক না কেন, তাতে দেশে প্রলয় ঘটবে না। আওয়ামী লীগ টানা ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিলো। তাতে কি আওয়ামী লীগ ধ্বংস বা শেষ হয়ে গেছে? বিএনপিকে অপেক্ষা করতে শিখতে হবে। রণহুংকার ছেড়ে মানুষকে আতঙ্কিত করা উচিত হবে না। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান যদি বিএনপির লক্ষ্য হয়, তাহলে অযথা উত্তেজনা ছড়ানো ঠিক হবে না। ভোট বানচালের ষড়যন্ত্রের গুজব বাজারে আছে। বিএনপি যেন এর অংশীদার না হয়।
বিএনপির নানা ষড়যন্ত্র-পরিকল্পনার তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার সাম্প্রতিক একাধিক বক্তৃতায় লন্ডন কানেকশন ও নির্দেশনায় কিছু ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি মহাসচিব আগের রাতেই ভোটকেন্দ্র পাহারার কথা বলে ষড়যন্ত্রতত্ত্বই কি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলছেন না?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়