শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:২২ সকাল
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পোস্টারে তারেক-খালেদা জিয়ার ছবি আচরণবিধির লঙ্ঘন : এইচ টি ইমাম

সাইদ রিপন : নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায়লের সভাপতি হিসেবে বিএনপির প্রার্থীরা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করছেন। এটি নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম একথা বলেন। এর আগে প্রায় দুই ঘণ্টা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল।

এইচটি ইমান বলেন, খালেদা জিয়া বর্তমানে দলের চেয়ারম্যান পদে বহাল নেই, তাই নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী তার ছবি ব্যবহার করা যাবে না। অন্যদিকে, তারেক রহমান একজন ফেরারী আসামি। তাই তারেকের ছবি নির্বাচনী পোস্টারে ব্যবহার করা যাবে কিনা সেই বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনকে বিবেচনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পোস্টার সম্পর্কে পরিস্কার বলা হয়েছে নির্বাচন পোস্টারে ছবি থাকবে দলের যিনি সভাপতি তার। বর্তমান সভাপতির ছবি এবং প্রার্থির ছবি। বিএনপি তারা প্রচার প্রচারণায় খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার দুই জনের ছবি ছাপাচ্ছেন। এটিতো আইনের সুস্পস্ট লঙ্ঘন। বর্তমানে খালেদা জিয়া তো সভাপতি নন। বর্তমান সভাপতি তাদের মতে তারেক রহমান।

জামায়াত প্রসঙ্গে এইচ টি ইমান বলেন, হাইকোর্ট থেকে জামায়াতের কয়েকজন প্রার্থীর বিষয়ে একটি তালিকা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তারা মনোনয়ন ফরমে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। দলের জায়গায় তারা তো লিখেছে বিএনপি। কিন্তু তারাতো বিএনপির নয় যেটা বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে। মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তাদের মনোনয়ন বাতিল যোগ্য। জামাত প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের জন্য আমরা কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছি।

নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে ১১৮টি এনজিওকে নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মধ্যে চারটি এনজিওর বিরুদ্ধে আমাদের আপত্তি রয়েছে। এই চারটি হচ্ছে- খান ফাউন্ডেশন, ডেমক্রেসি ওয়াচ, লাইট হাউজ এবং মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ। নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে এমন কাউকে দায়িত্ব দেয়া যাবে না, যারা কোনো দল, ব্যক্তি বা বিশেষ কোনো প্রতিষ্ঠানের আর্দশের প্রতি অনুগত। এই চারটি প্রতিষ্ঠানে বিএনপি রাজনীতির সম্পৃক্ত মন্তব্য করে তিন এই চারটি এনজিওকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করলাম, বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ দলীয় নেতাকর্মীরে প্রতি একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। যেখানে নির্বাচনী সমাবেশ হবে, সেখানে একটি লাঠির মাথায় ধানের শীষ প্রদর্শন করা হবে। এটি একটি আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কদিন আগে আমরা পল্টনে এসব লাঠির নির্মম ব্যবহার দেখেছি। তাই বিষয়টি আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা ও আক্রমনের স্বীকার হচ্ছেন। এই বিষয়টি এর আগেও আমরা কমিশনে জানিয়েছি। আজও আমরা লিখিতভাবে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে অবগত করেছি এবং এর প্রতিকার চেয়েছি। সারাদেশে আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে অথচ বিএনপি-জায়ামাত উল্টো অভিযোগ করে যাচ্ছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে এ ধরণের ঘটনা আমরা প্রতিদিন নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরবো।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের কোন আস্থাহীনতা নেই। এখানে ভিন্নমত থাকতেই পারে। এটি একটি কোর্টের মতো, সেখানে একজন নোট ডিসেন্ট দিতেই পারে। তাই প্রধান নির্বাচন কমিশনসহ সকলের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়