শিরোনাম
◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা

প্রকাশিত : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০২:০১ রাত
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০২:০১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচন দিকে অগ্রসর হতে বললেন ড. কামাল

শিমুল মাহমুদ: সরকারকে অর্থহীন বিজয়ের দিকে অগ্রসর না হয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিকে অগ্রসর হতে বললেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। শুক্রবার রাজধানীর পুরানাপল্টন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ড. কামাল বলেন, তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে দাবি করবেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। দয়া করে মিথ্যাচারের এই খেলা বন্ধ করুন। এটা স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থি। সরকারকে বলবো, এটা সম্পূর্ণ ভাওতাবাজি। যে কায়দায় করা হচ্ছে, সব স্বৈরাচারী শাসনকে হার মানিয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি কোনো ভোট হয়নি। এটা ছিল একটা আয়োজন মাত্র । তারা বলেছিলো, দ্রুত নির্বাচন দেবে, কিন্তু সেই দ্রুত সময় আর আসেনি। তাই আমি সরকার বলবো দ্রুত শব্দটাকে ডিকশেনারিতে ৫ বছর করে দিন। নয়তো আপনার মিথ্যেবাদী হয়ে যাবেন।

ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক বলেন, সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, এখনো সাত দিন আছে। মাথা ঠিক করেন, মাথা সুস্থ করেন, মাথা ঠান্ডা করেন। নির্বাচনে জিততে হবে কিন্তু এভাবে না। এটাকে জিতা বলবো না, বলবো সংবিধানকে ধ্বংস করা, মানুষের সাথে ভাঁওতাবাজি করা, তাদের ভোট অধিকার থেকে বঞ্চিত করা।

তাই এই প্রহসন বন্ধ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন, তা না হলে দেশে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হবে।

ড. কামাল হোসেন বলেন, জোর করে নির্বাচিত হবেন, দাবি করবেন বিজয়ী হয়েছেন, এটা অর্থহীন। দেশের মানুষ চায় অবাধ নির্বাচন। এদেশের মানুষ অনেক জীবনের বিনিময়ে ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে অতীতে। কিন্তু ৪৭ বছর পরেও ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে, এটা লজ্জাজনক।

গণফোরামের সভাপতি বলেন, পাঁচ বছর পর নির্বাচন করছেন, এট প্রহসনে পরিণত করবেন না। আগামীকাল থেকে খবর নেবো, এই আচরণ বন্ধ হয়েছে কিনা। এ রকম একটি জাতীয় নির্বাচনে পুলিশকে সংঘবদ্ধভাবে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এবং সরকারি দলের সমর্থক মিলে বিরোধ দলের উপর পেশীশক্তির ব্যবহার করছে। নির্বাচনের পূর্বে এটাকে আমি নজির বিহীন মনে করি। সারা দেশে এমন হচ্ছে। এ থেকে বুঝা যায় পরিকল্পিতভাবে কেন্দ্রীয় আদেশ নির্দেশে এগুলো হচ্ছে। এটা সংবিধানকে সর্ম্পূন লঙ্ঘন।

পুলিশবাহিনীকে সর্তক করে তিনি বলেন, সংবিধানে লেখা আছে, পুলিশ কোন দলীয় বাহিনী হবে না। পুলিশ ভাইদের অনুরোধ করবো, আপনারা পুলিশ ভাইয়েরা যা করছেন, ১৬ আনা নিরপেক্ষ পরিপন্থি। তা অবিলম্বে বন্ধ করুন। এটা করলে জনগণের মালিকানা থাকবে না, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। জনগণ যাকে ইচ্ছে ভোট দেবে। শুধু এটা নিশ্চিত করুন, আমরা বলছি না, আমাদেরকে ভোট দিতে হবে। জনগণ যাকে ইচ্ছে ভোট দিবে, তারাই ক্ষমতায় আসবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক। তিনি বলেন, ‘পর্যন্ত ১৬ জন ধানের শীষের প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেসব আসনে প্রার্থিতা বাতিল করা, সেসব আসনে পুনঃতফসিলের দাবি জানাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির হোসেন প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়