কামরুল হাসান : ২০১৩-১৪ সালে দেশব্যাপি যে তাণ্ডব চালিয়েছিলো জামায়াত-শিবির কর্মীরা তা থেকে বাদ যায়নি যশোর জেলাও। জেলার ঝিকরগাছা, মনিরামপুরসহ আরো কয়েকটি স্থানে ঘটে নাশকতা ও পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনা। সাধারণ মানুষের মন থেকে সে বিভিষীকা মুছে যেতে না যেতেই এখানকার দুটি আসন ঝিকরগাছা-চৌগাছা নিয়ে গঠিত যশোর-২ আসন থেকে জামায়াত নেতা এবং মনিরামপুর এলাকা নিয়ে গঠিত যশোর-৫ আসনে আর এক স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন জমিয়াতুল উলামা-আল-ইসলামের নেতাকে ঐক্যফ্রন্ট-বিএনপি জোট থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এ মনোনয়নকে ভোটাররা দেখছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে।
এখানকার সাধারণ জনগণ এ নিয়ে হতাশ। তারা বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তাদের দ্বারা দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় এবং জাতির অগ্রগতির ধারা অব্যহত রাখতে হলে এদেরকে অবশ্যই বর্জন করা উচিত। জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম বলেন, একাত্তরের ১১ ডিসেম্বর জেলার টাউনহল মাঠে এক সমাবেশে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ তাজউদ্দিন আহমেদ জামায়াতের পাশাপাশি মুসলিম লীগ, নিজামী ইসলামী ও জমিয়াতুল উলামাকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। এখন বিএনপি জামায়াত জোট তাদেরকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে জেলার পুলিশ সুপার বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে কাজ করছে তারা। তবে জামায়াত শিবির নাশকতা করতে পারে অতীতের এমন অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ।
যশোরের পুলিশ সুপার মইনুল হক জানান, ২০১৩-১৪ সালের যে প্রেক্ষাপট সে অবস্থা থেকে তারা অনেক বেশি সুসংঘটিত আছেন এবং ঐ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে সেটা মোকাবেলার সক্ষমতাও তাদের আছে। একটি উৎসবমুখর ভোটের পরিবেশে তৈরিতে পুলিশ সচেষ্ট। সূত্র : সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :