মঈন মোশাররফ : মেহেরপুর-২ আসন গাংনী উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই উপজেলাটির নাম প্রায় সংবাদ শিরোনাম হতো চরমপন্থিদের কর্মকান্ডের জন্য। ২০০৮ সালে মাত্র দুই হাজার চারশত ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে জয় পরাজয় নির্ধারন হয়। এই নির্বাচনেও এই দুটি দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ।
এই নির্বাচনে দুটি দলেরই এক ডজন করে মনোনয়ন চেয়েছে। মনোনয়নকে কেন্দ্র করে কোন্দল ও উপদলে পরিনত হয়েছে দল দুটি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম,এ মালেক ২০১৪ সালে নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মুকবুল হোসেনের কাছে হেরে যায়। এবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুজ্জামানকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। তিনি বলেন, যদিও দলের ভিতরে ভিন্ন মত ভিন্ন পথ আছে তারপরেও সবাই একসংঙ্গে কাজ করে জয়ী হবো
এদিকে তুমুল কোন্দল আছে বিএনপিতে। ২০০১ সালে যিনি বিএনপির এমপি ছিলেন, পরে দল ত্যাগ করে এলডিপিতে চলে যান এবং আবার ফিরে আসছেন। ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির আরেক প্রার্থী। কিন্তু তাদের বাদ দিয়ে এবার মনোনয়ন পেয়েছে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাবেদ মাসুদ তিনি বলেন, সরকারি দল বাধা না দিলে বিপুল ভোটে পাস করবে বিএনপি। গণতন্ত্র পুনঃ উদ্ধারের জন্য রায় দিবে জনগণ। উভয় দলের মধ্যেই কোন্দল বিরাজ করছে ।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সফিউদ্দিন আলম বলেছেন, নির্বাচনে জয় পরাজয় দুই দলের কোন্দল নিরসনের উপর নির্ভর করছে। স্থানীয় সাংবাদিক মাজেদুর ইসলাম বলেন, জাতীয় ইস্যু ছাড়াও স্থানীয় ইস্যুতে নির্ভর করবে আগামী নির্বাচন। সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে । তারা আশঙ্কায় আছে ভোট দিতে পারবে কী না। আর দলগুলো অভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্ব নিরসনে ব্যস্ত সময় পার করছে ।
আপনার মতামত লিখুন :