মানবজমিন : ক’দিন আগেই রিয়াল মাদ্রিদ ক্যারিয়ারে লা লিগায় সবচেয়ে দীর্ঘ ১০ ম্যাচের গোলখরা কাটান গ্যারেথ বেল। এবার চোট কাটিয়ে এক ম্যাচ পর একাদশে ফিরেই হ্যাটট্রিক ঝলক দেখালেন ওয়েলশ তারকা। বুধবার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বেলের হ্যাটট্রিকে জাপানি দল কাশিমা অ্যান্টলার্সকে ৩-১ গোলে হারায় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতে সরাসরি সেমিফাইনালে অংশ নেয় রিয়াল। আর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দুইটি কীর্তি গড়েন বেল। ক্লাব বিশ্বকাপে এ নিয়ে তিনটি সেমিফাইনালে (২০১৪, ২০১৭ ২০১৮) গোল পেলেন তিনি। প্রতিযোগিতায় ভিন্ন তিন আসরে গোল করার কীর্তি রয়েছে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। বার্সেলোনার হয়ে ২০০৯, ২০১১ ও ২০১৫ আসরে গোল পান মেসি।
আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ২০০৮ এবং রিয়ালের জার্সিতে ২০১৬ ও ২০১৭ আসরে গোল করেন রোনালদো। ক্লাব বিশ্বকাপের ইতিহাসে রোনালদো ও লুইস সুয়ারেজের পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েন বেল। ২০১৫ সালের সেমিফাইনালে বার্সার হয়ে চাইনিজ ক্লাব গুয়াংঝু এভারগ্রান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন সুয়ারেজ। আর ২০১৬ আসরের ফাইনালে কাশিমা অ্যান্টলার্সের বিপক্ষে জয়ের নায়ক হ্যাটট্রিকম্যান রোনালদো। বুধবার আবুধাবির জায়েদ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৪৪ থেকে ৫৫ এই ১১ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন বেল। কাশিমার রক্ষণভাগে ভুল ব্যাকপাসের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসে দ্বিতীয় গোল। গত মে মাসে লিভারপুলের বিপক্ষে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালের পর এই প্রথম এক ম্যাচে দুইটি অ্যাসিস্ট করলেন মার্সেলো। ব্রাজিলিয়ান লেফটব্যাকের চারটি অ্যাসিস্টই গোলে রূপ দেন বেল। গোড়ালির চোট নিয়ে ঝুঁকি থাকায় ম্যাচের ৬০ মিনিটে বেলকে তুলে নেন কোচ সান্টিয়াগো সোলারি। ৭৮ মিনিটে কাশিমার হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন মিডফিল্ডার শোমা দোই। প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় বেলের (৬) উপরে রয়েছেন শুধু রোনালদো (৭)। এ নিয়ে চারবার ফাইনালে উঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার রেকর্ড স্পর্শ করে রিয়াল। এবার টানা তিনবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সামনে হ্যাটট্রিক ও সর্বাধিক ৪ বার শিরোপা জয়ের হাতছানি। ১৫তম আসরের ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ক্লাব আল-আইন এফসি। আগামীকাল রাত সাড়ে ১০টায় খেলা শুরু হবে। আর্জেন্টিনার রিভার প্লেটকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম দল হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার গৌরব অর্জন করে আল-আইন।
আপনার মতামত লিখুন :