আব্দুর রাজ্জাক : হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, নবাবগঞ্জ , বিরামপুর ছাট ছোট এই চারটি উপজেলা নিয়ে দিনাজপুর-৬ আসন। আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে এখানে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এবারের ভোট ৫০ ভাগ সুষ্ঠু হলে ব্যাপক ব্যবধানে জয় পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা ও হাকিমপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সাখাওয়াত হোসেন।
সাখাওয়াত বলেন, ‘এখানে জামায়াতের প্রচুর ভোটার রয়েছে এটা আমাদের কাছে ১০০% প্লাস। তাই জোটের সিদ্ধান্তে এখানে জামায়াত সমর্থিত আনোয়ারুল ইসলামকে প্রার্থী করা হয়েছে। ভোটে জেতা নিয়ে আমরা মোটেই চিন্তা করছি না। তবে এখানে আমরা অনেক শক্তিশালী অবস্থানে থাকায় ভোটারদের নানা ভাবে হুমকি দেয়াসহ ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এমতাবস্থায় ভোট ৫০% সুষ্ঠু হওয়া নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।’
প্রায় পৌনে ৫ লাখ ভোটার রয়েছে এই আসনে। এর মধ্যে হিন্দু ও মুসলমানসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিরও বসবাস রয়েছে। এই এলাকার মানুষের প্রধান পেশা কৃষি, যদিও এখানে বাংলাদেশের শুল্ক আয়ের অন্যতম খাত হিলি স্থলবন্দরও অবস্থিত।
তবে ভোটের রাজনীতির চিত্র এখানে একেবারে ভিন্ন। এখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে অন্তর্দ্ব›দ্ব রয়েছে। যেটা ভোটারদের কাছে প্রকাশ্য। নিজেদের দলের মধ্যে নড়বরে অবস্থা, অপরদিকে জামায়াত বিএনপির একাট্টা হওয়ায় ভোটে জেতা নিয়ে সন্দিহান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মÐলীর সদস্য আক্কাছ আলী বলছিলেন, ‘এবারে ভোটে জয় পাওয়া একটু কঠিন হবে। আমাদের খুব দ্রæত নিজেদের মধ্যে কোন্দল মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং মানুষের কাছে যেতে হবে, যা এখনো করা সম্ভব হয়নি।’
এ আসনের অপর প্রার্থীরা হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নুর আলম ছিদ্দিক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহিদা খাতুন। বিবিসি বাংলা
আপনার মতামত লিখুন :