রাশিদ রিয়াজ : বাংলাদেশের সবুজ বাঁধাকপির চাহিদা বিদেশে ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সব্জির রপ্তানি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী বছরগুলোতে বাঁধাকপি রপ্তানি আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বে বাঁধাকপির চাহিদা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশ ফল ও সব্জি রপ্তানিকারক এ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে স্থানীয় উৎপাদকরা আগামী জানুয়ারি মাসে শুধু যশোর থেকে ২ হাজার টন বাঁধাকপি রপ্তানি করবে। গত বছর বাঁধাকপি রপ্তানি হয়েছিল ৮’শ টন। চুক্তিভিত্তিক খামার উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বাঁধাকপি রপ্তানির চাহিদা যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস
এগ্রোটেক বিডি’র মালিক ও সব্জি রপ্তানিকারক জহিরুল ইসলাম খান জানান, তার কোম্পানি মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামে ৫’শ টন বাঁধাকপি রপ্তানি করবে। যশোর থেকে তারা চুক্তিভিত্তিক খামারিদের সাহায্যে বাঁধাকপি রপ্তানির জন্যে সংগ্রহ করছেন। মাসাভা এগ্রো লিমিটেডের এমডি আরিফ আজাদ প্রিন্স বলেন, তার কোম্পানিও ৫’শ বাঁধাকপি রপ্তানি করবে। বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্পেন, চীন ও ইন্দোনেশিয়া প্রধান আমদানিকারক দেশ হিসেবে এ সব্জি আমদানি করে থাকে। চুক্তি ভিত্তিক খামার ব্যবস্থা আরো সক্রিয় এবং পণ্যটির মান নিশ্চিত থাকলে আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে ১০ লাখ টন বাঁধাকপি রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
এমনকি কোরিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও উত্তর আমেরিকায় রপ্তানিকারকরা বাঁধাকপি রপ্তানির জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রপ্তানিকারকরা যশোরের ৩’শ খামারির সঙ্গে চুক্তি করেছেন এবং কীটনাশক ও রোগমুক্ত নিরাপদ বাঁধাকপি সরবরাহ দিচ্ছেন তারা। কৃষকদের এ ধরনের চাষে নেদারল্যান্ডস’এর একটি প্রতিষ্ঠান সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া কারিগরী সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম রেজা হাসান বলেছেন তাদের সহযোগিতায় বাংলাদশের কৃষকরা চমৎকার কাজ করছে। বিশ্বে বাঁধাকপির চাহিদা ছিল গত বছর ৫.৮ বিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশ এ পণ্যটি রপ্তানি করে আয় করছে ৭০ মিলিয়ন ডলার।
আপনার মতামত লিখুন :