মারুফুল আলম : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, সব হামলা নির্বাচনী হামলা নয়। রাজনৈতিক নেতা যদি দুই হাজার লোক জড়ো না করে চার পাঁচজন লোক নিয়ে জড়ো হোন, আবার ওখানে দুইজন থাকে আগুন সন্ত্রাসী বা পেট্রোলবোমা হামলার আসামি, তাদের দেখে মানুষ হৈহৈ করলেই ওরা ভাইগা যায়। এসব নির্বাচনী হামলা নয়। বুধবার চ্যনেল আই তৃতীয় মাত্রায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী নিজামীর কবর জিয়ারত করে ফিরে আসার সময় অধ্যাপক আবু সাঈদের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। নিজামীর কবর জিয়ারত করলে ভোট বাড়বে, এ ভাবনা থেকেই তিনি নিজামীর কবর জিয়ারত করতে গেছেন। স্বাভাবিকভাবে যুদ্ধাপরাধীদের কারণে যারা ভুক্তভোগী, তারা একটু উত্তেজিত হতে পারে, যদিও আমি হামলা সাপোর্ট করছি না। এটি কিন্তু নির্বাচনী হামলা নয়। একইভাবে গোলাম মওলা রনি একদিন আগেও আওয়ামী লীগে ছিলেন এবং খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে নানারকম কথা বলে গেছেন টকশোতে। একদিনের মধ্যে বিএনপি হয়ে যখন তিনি এলাকায় গেলেন স্বাভাবিকভাবে এলাকার বিএনপি কর্মী-সমর্থকরা তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ১ হাজার ১৬ প্লাটুন বিজিবি এখন মোতায়েন আছে, আর্মিও হয়তো নেমে যাবে এবং নির্বাচন কমিশনের পুরোপুরি স্বক্ষমতা নির্বাচন পর্যন্ত থাকবে। যেখানে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে এগুলোর তদন্ত করে আর যেন না ঘটে নির্বাচন কমিশন আর পুলিশ প্রশাসন সে ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচন সুন্দর করার ক্ষেত্রে বিরোধীদলের চেয়ে ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্ব বেশি। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের জন্য এই নির্বাচন সুন্দর করা একটি চ্যালেঞ্জ। এখন থেকেই দাঙ্গা- হাঙ্গামা কমানোর বিষয়ে সচেতন হতে হবে। যদি ভোটার উপস্থিতি কমে যায়, সেটার ক্রেডিবিলিটির কোশ্চেন কিন্তু আওয়ামী লীগের ওপর চলে আসবে। তবে, যেখানে যার শক্তি থাকে সেখানে স্বাভাবিকভাবে তার জোর দেখানোর কিছু ঘটনা এবারেই প্রথম ঘটছে না।
ড. মীজান বলেন, মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের কিছু লোককে আসলে ঢাকায় রেখে দেয়া হয়েছে শুধু কমপ্লেন করার জন্য। এরা নির্বাচন করছে না। এদের ডিউটিই হলো শুধু কমপ্লেন করা। এটি ঠিক না। তবে, কোনোভাবেই এমন পরিস্থিতি যেনো সৃষ্টি না হয়, যাতে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনের সচেতন থাকা উচিত বলে মনে করেন ড. মীজান।
আপনার মতামত লিখুন :