মাসুদ রানা: বাংলাদেশে ৩০শে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন উপলক্ষে ২৪শে ডিসেম্বর সারা দেশে সেনা মোতায়েন হলে তার প্রত্যক্ষণ ও অভিঘাত পড়বে দুই শিবিরে দুই রকমের এবং এর মিথষ্ক্রিয়া তৈরি করবে নির্বাচনের নির্ধারক পরিস্থিতি। এটি আমার ধারণা।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের হাতে আছে সরকার, প্রশাসন, পুলিস ও নির্বাচন কমিশন। এর সবগুলো ওরা কাজে লাগিয়েছে প্রতিপক্ষকে ত্রাসের মধ্যে রেখে নির্বাচনের মাঠ দখল করে আছে। এখন শুধু বাকি আছে যা দেখার, তা হচ্ছে, সেনাবাহিনীর ভূমিকা।
উপরিত বর্ণিত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী যদি নিরপেক্ষ হয়ে মাঠে নামে, আমার ধারণা হলো, আওয়ামী শক্তি থমকে দাঁড়াবে এবং গ্রেফতার এড়াবার ভয়ে হয়তো পিছু হটতেও পারে। আর, ইতিমধ্যে অবদমিত বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রণ্টের শক্তি নির্ভয়ে এক কদম এগিয়ে আসতে পারে। অর্থাৎ, সেনাবাহিনীর উপস্থিতি মহাজোটের লোকদের মধ্যে ভয়সঞ্চারক এবং ঐক্যফ্রণ্টের নেতা-কর্মী-সমর্থকের মধ্যে একটি ভীতি-নিরোধক হিসেবে কাজ করবে।
মহাজোটের এক কদম পিছু হটা এবং ঐক্যফ্রণ্টের এক কদম এগিয়ে যাওয়া যদি একটি আরেকটির কারণ ও ফল রূপে পরস্পরের কাছে প্রত্যক্ষিত হয়, নির্বাচনী মাঠের নিয়ন্ত্রণ মহাজোট হাত থেকে ঐক্যফ্রণ্টের হাতে চলে যেতে পারে। আর, তাহলে, নির্বাচনের ফলাফল যাবে ঐক্যফ্রণ্টের পক্ষে।
আমার উপরের বিশ্লেষণটি এই প্রিজাম্পশন বা পূর্বানুমানের ওপর নির্তরশীল যে, প্রতিষ্ঠানগতভাবে সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রের সংবিধানের প্রতি অনুগত এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষ থাকবে।
তবে, শেখ হাসিনা যেভাবে প্রশাসন ও পুলিসের ভেতর নিজের ভিত শক্তিশালী করেছেন নানা প্রক্রিয়ায়, তা যদি তিনি সেনাবাহিনীর মধ্যেও করে থাকেন, সেনাবাহিনীর আচরণ ও ভূমিকা মৌলিকভাবে প্রশাসন ও পুলিসের চেয়ে ভিন্ন হবে না। ফেসবুক থেকে
১৯/১২/২০১৮
লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড
আপনার মতামত লিখুন :